পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty निक थंहांत्रौ আন্তরিকতাকে চিনিয়া গ্ৰহণ করিয়া আন্তরিকতার প্রতিদান যার মর্মকথা । এই রোথো ! হিয়া রোখো ! সোয়ারির গর্জন শুনিয়াও মোড়ের মাথার কাছে প্ৰধান রাস্তাটির উপরে সেখানে গাড়ির ভিড়ের মধ্যে রিক্সা থামানো গেল না। একটু আগাইয়া বঁক ঘুরিয়া বায়ের রাস্তায় ঢুকিয়া রিক্সাওয়ালা গাড়ি নামাইয়া রাখিল । সোয়ারি নামিয়াই রিক্সাওয়ালার গালে একটা চড় বসাইয়া দিল । সোয়ারি বাবু নয়। লুঙ্গিপরা গেঞ্জি গায়ে গামছা কঁধে শ্রেণীর মানুষ। সেখানে কুড়ি পঁচিশটা রিক্সা ছিল, রিক্সাওয়ালারা হা হা করিয়া ছুটিয়া আসিয়া লোকটিকে ঘিরিয়া ধরিল । পথিক ও জমিয়া গেল। কয়েকজন । সোয়ারির সেদিকে খেয়াল আছে মনে হইল না । চড় মারিয়া নিজেই চমকিয়া” উঠিয়া সে কেমন এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে রিক্সাওয়ালার মুখের দিকে তাকাইয়া হতভম্বর মত দাড়াইয়া ছিল, হঠাৎ সে দু'হাতে রিক্সাওয়ালার ঘণ্টাসমেত ডান হাতটি চাপিয়া ধরিল । মাপ কিজিয়ে ভেইয়া । কসুর হুয়া । কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করিয়া সে আবার বলিল, মায় কভি এসা নাহি কিয়া । বলিয়া রিক্সাওয়ালার হাতটি তুলিয়া নিজের গালে চড় বসাইয়া দিবার চেষ্টা कब्रेिल्न । আরে রাম রাম । কতক্ষণ দু’জনে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত আলাপ করিয়াছিল জানি না, মিনিট দশেক পরে বন্ধু আমাকে জোর করিয়া টানিয়া নিয়া গেলেন । বন্ধু বলিলেন এতে সৌজন্যের কি আছে ? তোমার গালে চড় মেরে কেউ যদি ওভাবে মাপ চায়, তুমিও তাকে ক্ষমা করবে। তাতে অস্তত এটুকু প্ৰমাণ হয় তো যে ও আমার চেয়ে ছোট লোক নয় ? — বলিয়া আমি যোগ দিলাম, আমি শুধু ক্ষমা করতাম। ওদের মুখের ভাব দেখেছিলে, কথা শুনেছিলে ? ক্ষমা করে ও রকম দিলাদরিয়া হবার ক্ষমতা তোমার আমার নেই। সেইদিনই রিক্সাওয়ালা মহাবীরের কাছে তার মুস্কিলের কাহিনী শুনিয়াছিলাম । সোয়ারি নিয়া সে চেতলায় গিয়াছিল। একটি বিধবা স্ত্রীলোককে লইয়া কালীঘাটে আসে। কালীঘাটে আত্মীয়ের বাড়ি স্ত্রীলোকটি আর খুজিয়া পায় না। সঙ্গে একটি পয়সাও নাই। সন্ধ্যা হইয়া আসিতেছে। মহাবীরেরও চেতলা ফিরিয়া যাওয়ার