পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fSBNs R (R বড়নিছিপুর বৈন চিন্তামণি আমি বড়নিছিপুর আসিয়াছি জানিবা। না আসিয়া কি করিব আমার কে আছে আমাকে পুষিবে। পোড়া কপালে এত কষ্ট ভগবান কেন দিয়াছিল মরিয়া গেলে সুখ পাইতাম তা মরণ আদিষ্ট নাই। তুমি আমি দুই বইন মন্দ আদিষ্ট তুমি আট টাকা পাঠাইয়াছ তাহাতে কি হইবে জিনিষপত্র আগুন হইয়াছে। বাবুৱা শুদা দিশ পাইতেছে না কি দিয়া কি করিবে। ছেলাপিলা মাগের ভাত কাপড় দিতে মাথায় হাত দিয়া কান্দে। তুমি আমাকে টাকা পাঠাইয়াছ তাতে কত সুখী হইয়াছি যে দিদিরে তুমি ভুলিলা না নিজে কষ্ট করিয়া টাকা পাঠাইলা। নিজ বয়স বুঝিয়া সাবধানে চলিবা মন্দ লোক বুঝিলে কোন সংসৰ্গ রাখিবা না। পেটের খিদায় তুমি মধুবনী গিয়াছ ইহা আমারই আদিষ্ট। বড়নিছিপুরে আমি ভূষণবাবুর বাসায় আসিয়াছি। ভূষণবাবুরে তুমি চিনিবা তিনি মোদের গায়ের হালদার মশায়ের বড় জামাই তোমার হাত ধরিয়া টানিতে দেখিয়া যাহাকে গালমন্দ করিয়াছিলাম। কিন্তু কেলেঙ্কারীর ভয়ে প্রকাশ করি নাই। আমি ভূষণবাবুর বাড়ীতে আসিয়া আছি। ইনি এমন ভালো লোক তাহ জানিতাম না । আমাকে নিরাশ্রয় জানিয়া এখানে আনিয়া আশ্রয় দিয়াছেন। খিদিরপাড়ায় বাপের বাড়ী বেী প্রসব হইতে আসিয়াছিল তাহাকে আনিতে আসিয়া বলিলেন যে হরমণি তুমি জানাশুনা লোক তোমারে চাকরাণী হইতে বলিতে পারিব না। তুমি খাওয়া পরা পাইবা সব পাইবা আপনজনের মত ঘরে থাকিবা । বাসনমাজ ঘর বাট দেওয়া সব কাজ করিবা তাঁহাতে তােমার কিসের অপমান, আমার মা বৈন সংসারের কাজ করে না। তুমি জানিবা যে আমি নীচু জাতের মেয়ালোক আমার সহায় সম্পদ কিছু নাই ছাড়াও এখন না খাইয়া মরিবার দাখিল হইয়াছি তথাপি আমার মান রাখিলেন। ভূষণবাবুকে দেবতা বলিয়া জানিয়া পায় ধরিয়া কত কঁাদিয়াছি তাহাতে কিরূপ লজ্জিত হইয়া তিনি বলিয়াছেন তুমি কেন কান্দিতেছ। পায় ধরিতেছ। কেন আমি নিজ কর্তব্য করিয়াছি ইহা কিছু নয় তিনি এরূপ দেবতা অপেক্ষা বড়। বড়নিছিপুরের যে মস্ত কারখানা আছে তাহাতে ইনি কাজ করেন। কারখানা তুমি কি দেখিয়াছ এখন কি হইয়াছে। সিংপাড়া গায়ের চিহ্ন নাই সেখানে কারখানা বসিয়াছে। দেখিয়া শুনিয়া থ বনিয়া গিয়াছি। আশীৰ্বাদিক দিদি