পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(:bፓ” गानिक यंहांतुर्कीौ বড় দাও মেরেছি। দেখবি যা নন্দীর ঠেয়ে, দু’য়ের তিনের কাপড়ের দর হঁকছে। সাত আট নয়। ইদিকে সুতো পাইনে মাইরি। নন্দী বেটা বলছে সুতোর আমদানী নেই, কোথা পাব সুতো ! কিছু আছে দিতে পারি, তা দর কিছু বেশী লাগবে। কি দর জানো ? সোনার দর! আর সালে সোনা কিনিছি। ওই দরে নেতার মার নাকছবির জন্যে । তাত বন্ধ গায়ে । সব কটা তাত বন্ধ । এ কি হল কাণ্ডখান ? এখানে কিছু কাপড় আছে বরুল তাতির ঘরে। দিবারাত্রি তার স্বস্তি নেই, ঘুম নেই। যে কাপড় বেচে দিয়েছে সামান্য কিছু বেশী লাভে তার জন্যে আপশোঁস, বাজারের দীর দেখে বাকী কাপড় ছেড়ে দেবার তাগিদ, দর আরও চড়ছে দেখে অপেক্ষা করার লোভ, দর পড়ে যাবার ভয় – কত কি চিন্তা যে ঘুরপাক খাচ্ছে বেচারীর মাথায় ! সাতান্ন জোড়া কাপড় একশো তেইশ জোড়া গামছা, দু’চারখান গামছা আবার বেশী দরে কিনেও রেখেছে । এসব অভ্যাস নেই বেরুলের, বেশীদিন টিকবার সাধ্য তার হয় না । ভেবে ভেবে এমন মাথা ঘোরে আর বুক ধড়ফড় করে তার যে নন্দী বাবুর লোক এসে আরও আট আনা বেশী দিতে চাওয়া মাত্র সব মাল ছেড়ে দিয়ে সে যেন হাফ 6छ्एछ् दौj(b । “মিলের কাপড় মেলা কষ্ট ।” “মিল কাপড়ের দর চড়িয়ে দিলে। এই ফাকে সুতো পেলে মোদের কিছু হত ।” চালের দাম বারো টাকা। ঘরে গৌরের চাল বাড়ন্ত, দুধ বেচা পয়সা নিয়ে চাল কিনতে গিয়ে সে শোনে, চালের মণ বারো টাকা, মোটা ভাঙ্গা চাল। আড়াই টাকায় গত ফসলের যে ধান সে নিজে বেচেছে, সেই ধানের চাল বারো টাকা । রঘুর কাছে গিয়ে সে বলে, “এত ভারি মুস্কিলের কথা হল ?” রঘু হেসে বলে, “ভড়কে গেলি তো ? চুপ করে থাক না কদিন। তাড়কানি খেলছে। ওরা, যুদ্ধ লেগেছে খবর এয়েছে কিনা তাই ভেবেছে তড়কিয়ে দিয়ে মেরে নেবে ফাঁকতালে। শালার বোয়ের মাই কিনা চাল, বারো টাকা মণ বেচিতে চান যুদ্ধর নামে । কোথায় যুদ্ধ, কোথায় কি, মোর পান্তায় নেই কে ঘি। যেমন হাবা তুই, ঘাপটি মেরে থাক না বসে চুপটি করে দশটা দিন ? ‘চাল যে বাড়ন্ত ঘরে, কিছু বােঝােনা তুমি।” ‘চাল বাড়ন্ত, চাল নে যা দু’কুনো। কথা কিসের অন্ত ?”