পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&bre মানিক গ্ৰন্থাবলী পণ্ডিত পিতা ষে স্কুলে আর বাড়ীতে পড়িয়ে বিদ্যা দিয়েছিলে, এতদিন পরে একটু কাজে লাগল। ছোটলাল । ফ্যাসাদ হল রাখাল ছোড়ার জন্য । আজ সকালে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, কিছু না বলে কয়ে ভোরে সে হঠাৎ বাড়ী চলে গেছে। ওর মার নাকি মরমর অবস্থা। রামঠাকুর। মা ওর ভালই আছে। আমিও ছুটে গিয়েছিলাম, শেষ মূহুর্তে স্বৰ্গে যাবার ভাড়া হিসেবে কিছু পূণ্য আর পায়ের ধূলোটুলো দিয়ে-ব্ৰাহ্মণের পায়ের ধুলোই পুণ্যের সমান।— কিছু যদি আদায় করতে পারি। তা একটা . নারকোল, কটা বাতাসা আর পাচটি পয়সা দিয়ে যাত্রা শুভ করিয়ে নিলে । ছোটলাল । কিসের যাত্ৰা ? রামঠাকুর। ছেলেকে নিয়ে পাণগড় যাবে। এমনি দু’বার ডেকে পাঠিয়েছিল, ছেলে যায় নি। তাই খবর পাঠিয়েছিল কলেরা হয়েছে। ছোটলাল। একবার বলে গেলে না। মধুর বাড়ী গিয়েছিলাম, জানত।ণ আমি দশজনকে পালাতে মানা করছি, আমার নিজের লোক এদিকে পালাচ্ছে। এত করে শেখালােম পড়ালাম রাখালকে, একবার জানিয়ে পৰ্যন্ত গেলনা । রামঠাকুর। খবরটা পেয়ে ছোড়া একেবারে দিশেহারা হয়ে ছুটে গেছে। ছোটলাল । ( ক্ষুব্ধভাবে) দিশেহারা হয়ে ছুটে গেছে, না ? একটু কিছু ঘটলেই সকলে দিশেহারা হয়ে যায়। কোনদিন কিছু ঘটে না কিনা, সকলের তাই এই দশা । চোখ কান বুজে কোনমতে খেয়ে পরে নিবিবাদে দিন কাটাতে কাটাতে মনের বঁাধন গেছে আলগা হয়ে । মার মরমর অবস্থা শুনে মাকে বঁাচাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারে না, মা মরে যাবে ভয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। আমাদের একি অভিশাপ বলুন তো ? গাঁয়ে পাহারা দেবার জন্য যখন নাম চেয়েছিলাম, সকলে আঁতকে উঠেছিল। মধু। মুখু লোক সব, চিরকাল মার খেয়ে আসছে, অল্পেই ভড়কে যায়। কথায় কথায় আঁতকে উঠবার ভাব অনেকটা কিন্তু কেটে গেছে। চুপচাপ হাত গুটিয়ে বযে থাকত, কি করবে জানত না, কিছুই বুঝত না । কি যে ভাববে কেউ ঠিক করে উঠতে পারত না। একটু একটু ভাবতে সুরু করেই অনেকে ধাতস্থ হয়েছে । ब्राभर्टाकूद्ध । ॐअभांद्म 65 नश्च Sिकि९न1 । মধু। এক হিসেবে সহজ। আবার এক হিসেবে ভীষণ কঠিন ঠাকুরমশায়। প্ৰত্যেকে