পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo शांत्रिक jहांबुर्वीौ চাদ তাকে বলে, ‘ঘেটুর মা কেমন আছে আজ কালাচাঁদ ? কালাচাঁদ বঁ হাতে চোেখ কচলে একটা অস্ফুট শব্দ করে, কথার চেয়ে মানে যার বেশী স্পষ্ট । চাদ একেবারে তামাক সেজে থেলো হুকোয় কলকে বসিয়ে টানতে টানতে এসেছিল, দাওয়ায় উবু হয়ে বসে হুকোটা সে এদিয়ে দেয় কালাচাদকে। খানিক একথা সেকথা বলে নিয়ে শুধোয়, ‘পৈছেটা বেচে দেবে শুনেছিলাম, দিয়েছে। নাকি ভায়া ? দু’বছর যার সঙ্গে সে কথা কয়নি। আজ তাকে চাদ ভায় বলে ! “দেব আজকালের মধ্যে ।” “অ্যাদিন বেচে নি। ওটা, এ বড় আশ্চৰ্য ।” ‘ঘেটুর মা লুকিয়ে রেখেছিল। নিশ্চিত মরবে জেনে ভয় পেয়ে তবে না। ফাস করলে । ওটা বেচে ডাক্তার আনিব, ওকে বঁাচাব, সখি কত বঁাচার । ডাক্তার এসে বঁচিয়ে দেছে আমার ন’কড়ি, সাত কড়িকে, জন্মের মত বঁচিয়ে দেছে । এবার এসে বঁাচাবে ওকে ? ইকোয় জোরে টান দিতে গিয়ে কাশির ধমকে দিম আটকে আসবার উপক্রম হয় কালাচাদের, এক হাতে হাড় পাঁজর বার করা শীর্ণ বুকটা চেপে ধরার জন্য তাড়াতাড়ি নামিয়ে রাখতে গিয়ে হুকোটা কাত হয়ে কষ্কের আগুন छटिश शांश। ‘বেচাবে যখন, দাও, আমিই কিনে নি।” কালাচাঁদ একটু সুস্থ হলে চাঁদ বলে, “কিনতে একটা হবে আমার পুটুর জন্যে, পৈছে পৈছে করে ক্ষেপে গেছে একদম । বড়ও হয়েছে, বিয়ে শীগগির না দিলে নয়। তাই ভাবছি কি, বিয়ের সময় করতে হবে একটা, দুদিন আগেই কিনি, মেয়েটা বায়না ধরেছে। যখন। মজুরি বাদে যা পড়েছিল তোমার তাই দেব’খন। রূপে আছে কতটা ওতো?” কালাচাঁদ চুপ করে থাকে। তার পক্ষে উৎসাহের একান্ত অভাবটা বড় খাপছাড়া, বন্ড বিচ্ছিরি লাগে চাদের । ‘নগদ দেব- সব টাকা নগদ । বাকী কিছু রাখব না।” ‘রূপোর দর খুব চড়েছে শুনলাম ? কথা শুনে চাদের বুকটা ধড়াস করে ওঠে । , ‘গৌর যাচ্ছিল কাল রাস্তা দিয়ে, ডেকে বললাম, ও বাবা গৌরী, পৈছেটা বেচে দিবি বাবা কারো কাছে, দুটো টাকা যাতে বেশী পাই ? গৌর বললে-রূপোর দাম