পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਨੇ \სტ\9 গৌরের গরুর দুধ কমে গেছে। নীলকণ্ঠবাৰু চাঁদের কাছ থেকে একসের করে দুধ নেবার ব্যবস্থা করেছেন। এ বাড়ীতে দুধ নিতে আসবার কোন তাগিদ। চিন্তামণির ছিল না। কিন্তু সাধ করে গৌরের বাড়ী দুধ নিতে আসবার ভারটা নেওয়ায় এ বাড়ীতেও তাকে খুব যেতে হয়। দুজনের বাড়ী বেশী দূরে নয়। পরদিন সকালে চিন্তামণি এসেছে। দুধ নিতে, চাদ চেয়ে দ্যাখে কি বিধবা মেয়েটা রূপোর পৈছে পরেছে বেহায়ার মত। ঘেটুর মার গায়ে যেটা লটকে থাকতো এ পৈছেটাও যেন তারই মত । ‘পৈছে দিল কে ? চাদ শুধায় । ‘কে দেবে, কিনিছি।” ‘কার কাছে কিনলে ? গৌরের কাছে নাকি ? “অত খোজে কাজ কি তোমার ? দুধ নিতে এইছি, দুধ দুয়ে দাও, নিয়ে চলে যাই ।” চিন্তামণি ঝাঝালো সুরে জবাব দেয়। ঝোকের মাথায় সখের বশে পৈছেটা গায়ে চড়িয়ে সে অস্বস্তি বোধ করছিল। মনে হচ্ছিল, ভোরের এই সুন্দর পৃথিবীতে সব মানুষ সব ভুলে তার এই গয়নাটির দিকেই শুধু তাকিয়ে থাকছে হঁা করে। “তোমার তো বড় মুখ বাছা ?’ বলে চাদ চুপ করে যায়। রাত্রে পুটু তার দিদিমার কাছে শোয়। দুয়ার খুলে বেরিয়ে এসে সে কেমন এক খাপছাড়া ভীত কণ্ঠে ডাকে, “বাবা।” দুধ দোয় স্থগিত করে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে চাঁদ বলে, “কিরে পুঢ়ী?” “দিদিমা যেন কেমন করে শুয়ে আছে, দ্যাখোসে বাবা।” ‘ডাক না ?”

  • cलब्लॉग 6उां । न(g b(g न।'

তাড়াতাড়ি উঠে ঘরে গিয়ে একনজরে তাকিয়েই চাদ টের পায় বুড়ী মরে গেছে। বুকটা তার ধড়াস করে ওঠে, মাথা ঝিম ঝিম করে। তার মনে হয় সেই যেন মনে প্ৰাণে ‘জোরালো কামনা করে বুড়ীকে মেরে ফেলেছে। আর কি এ মরণ! রোগবালাই নেই, সাড়াশব্দ হৈ চৈ নেই, রাত্রে ঘুমের মধ্যে চুপি চুপি নিঃশব্দে স্বৰ্গে যাওয়া । পুটু কেঁদে ওঠে, তার মা ছুটে এসে কান্নায় যোগ দেয়, আশে-পাশের বাড়ীর লোক দু’চারজন এসে জুটতে আরম্ভ করে। দুধ আর চিন্তামণির নেওয়া হয় না। বুড়ীর শোকে চাদের দুধ দোওয়ার শক্তি লোপ পাওয়ার জন্য নয়, যে বাড়ীতে