পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী ফাকি দিয়া লইয়া গিয়া এইরূপ কাৰ্য করিল। হেম ৰে মায়ের জন্য কি প্ৰকার কান্দাকাটা করিয়াছে। তাহা আর এই ক্ষুদ্র পত্রে কি লিখিব। তবু চাপাকে বাড়ীতে লইল না। জামাতার মুখ দেখে নাই বিবাহের নিয়ম কাজ মায়ে করে। তাহাও করে নাই। আমি এই অশান্তিতে আছি তুমি সর্বদা পত্র দিবে। তোমার পত্র পাইলে একটু শাস্তিতে থাকি। মেয়ে জামাই লইয়া বাড়ীতে আসে নাই তাহার জন্য আশী দ্বাদ করিও । তোমাকে জানাইব। টাকা ত লইয়া যায় নাই । নবিন আষাঢ় মাসে ধান্যের কাজ করিয়া ১০২ টাকা দিয়াছে কি কাজ করে জানি না । চাপার পত্ৰ পাই নাই । আমার খাওয়া চলে না । “丽命” চিঠি পড়ে। পটল বলে, “লেখাটি কার রে ? কুচি কুচি লিখতে জানে अिध्iggद्ध लेT९ ।' “নন্দ গোঁসাই হবে। আগে নিত এক পয়সা, এখন দু’পয়সার কম কথাই কয় না । তবে লেখে বটে, হঁ্যা । যত খুশী বলে যাও সব ধরিয়ে দেবে একখানি পোষ্টকার্ডে। একবারটি আমি ভাবন্ত, ঘোষাল বাড়ীর মেজো বৌ পাশ দিয়েছে, পয়সা দিয়ে লেখাই কেন গোঁসাইকে দিয়ে ? তা বললে তুমি হাসবে পটলবাবু, বলতে শুরু করেছি কি করিনি, মেজ বেী বললে আর তো জায়গা নেই চিন্তামণি ! এত কথা লিখবে তো খামে লিখলে না কেন ?” ’’ -- Oi -- \O1؟ “কি হল তুমার ?” ‘সত্যি কথাই বটে তো।” “কি সত্যি কথা ?” “খামে লেখোন কেন ? “একটা পয়সা লোকসান হয়। তাছাড়া, কাগজ কই ? মাগো বাবাগো ! কি ফ্যাকড়া বেঁধেছে কাগজ নিয়ে ! না চেয়ে মিলতো আগে যত চাও ততো, চাইলে পরে খি চড়ে ওঠে এখন ! নবীনকে দিয়ে দিস্তে দিস্তে কাগজ হেডমাস্টার বেচে দিত দোকানে । এবার মোটে দু’চার দিস্তে বেচলে-পায়নি তো বেচাবে কি ! তা দর যা হয়েছে কাগজের, ক’দিন্তে বেচে লাভ কিছু কম হয়নি।’ ‘আর কিছুর দর বাড়েনি?’