পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिक ७jहांवली ‘জানি না । চেনা চেনা লাগছে-’ লরীর ওপর দাড়িয়ে একটু দম নিয়ে ভদ্রলোক প্ৰাণপণে চীৎকার করে ঘোষণা করলেন, স্বয়ং বসন্ত রায় নির্দেশ পাঠিয়েছেন হাঙ্গামা না করে সবাই ঘরে ফিরে যাক। হাজার কণ্ঠের গর্জনে তার জবাব এল, কোথায় বসন্ত রায় ? উপদেশ চাই না ! হাঙ্গামা নেই, চুপ করে বসে আছি। বসে থাকব যত দিন দরকার। উপদেশ 5 ਸ | অতি কষ্টে লৱী থেকে নেমে ভদ্রলোক হাত নেড়ে নেড়ে কিছুক্ষণ কথা কইলেন সার্জেণ্টদের দলপতির সঙ্গে, তারপর ব্যস্ত-সমস্ত ভাবে ভিড় ঠেলে এগিয়ে গেলেন তঁর গাড়ির দিকে পাশের রাস্তায় । আবার শান্ত হয়ে গেল চারিদিক । আবদুল বলে, ‘এবার চিনেছি, - অমৃতবাবু। বসন্ত রায়ের একজন ফেউ । সব মিটিং-এ হাজির থাকে, বক্তৃতা দেবার খুব সখ। কিন্তু বিশেষ বলতে পায়ও না, বলতে পারেও না ভালো ৷” “এমন লোককে পাঠানোর মানে ? রসুল বলে বিরক্তির সুরে। “পাঠিয়ে দিলো যাকে পেলে হাতের কাছে।” “এভাবে চলে যাবার হুকুম পাঠানো উচিত হয়নি। নিজে এসে সব জেনে বুঝে —” হৈচৈ হুলোড় নেই, হাঙ্গামা নেই, কিন্তু চারিদিকের থমথমে ভাবটাই কেমন উগ্ৰ মনে হয় রসুলের । ধৈর্যের পরীক্ষা যেন চরমে উঠেছে। 'লাঠি চার্জ হবে না বোধ হয়, আবদুল বলে। 'कि खांनि ।' ব্যাপার কোথায় গড়াবে ভাবছি। দু'পক্ষই চুপচাপ থাকবে এমনিভাবে ? “তই কখনো থাকে ? এক পক্ষ ভাঙবেই, ধৈৰ্য হারাবে।” “আমরা চুপচাপ আছি। ওরা তো মিছেমিছি হাঙ্গামা বাধাবে না। তবে ? ‘দেখা যাক। ডর লাগছে ? “কিসের ডরি ? আমি তো এক নই।” কথাটা বড় ভাল লাগে রসুলের। এমন কিছু নতুন নয় কথাটা চমকে দেবার মতো, কিন্তু তারও অনুভূতির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মনের কথার প্রতিধ্বনির মতো মিষ্টি মনে হয়। জখমের, রক্তপাতের, হয়তো বা মরণের মুখোমুখি দাড়িয়ে কোন