পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী মুসলমান একত্র হয়েছে কেন তাও সে টের পায়। জালালুদ্দিন তার জন্য এই সম্মান ও সহানুভূতি স্বষ্টি করে রেখে গেছে । জর গায়ে জালালুদ্দিন জেলে গিয়েছিল। দিন পনের পরে সে নিমুনিয়ায় । NS R চার Y কৃষ্ণেন্দু থাকে নরোত্তম দাস লেনে ছোট একটি বাড়ীতে, তার দাদা পুর্ণোঙ্গুর সঙ্গে। বয়সে পূর্ণেন্দু তার চেয়ে প্রায় দশ বছরের বড়, পড়াশোনা করেছেন অনেক, এককালে কিছুদিন দেশের কাজে উৎসাহের আতিশয্যে প্ৰায় পাগল হয়ে উঠেছিলেন। এখন ধীর স্থির সংসারী নিরীহ ভালমানুষ । ‘ ছোট ভাইটিকে তিনি অনেকটা বড়দাদার মত শ্রদ্ধা করেন। চাকরী করে সংসার চালিয়ে একঘেয়ে জীবন-যাপন করার জন্য তার মনে বিশেষ কোন ক্ষোভ নেই, কারণ তিনি সত্যই বিশ্বাস করেন এবং অকুষ্ঠিতভাবে স্বীকারও করেন যে বড় কিছু করার ক্ষমতা তার নেই, তিনি উপযুক্ত নন। বলেন, “আমরা তো অপদাৰ্থ, আমাদের জীবনের দাম কি ?, কলেজে পড়ার সময় যোয়ান বয়সে একবার জেল খাটলাম ছ’মাস, বাস, খতম হয়ে গেল দেশের কাজ। কেষ্ট তেমন নয়। ও একটানা চালিয়ে যাচ্ছে। বিয়ে যখন করল, ভেবেছিলাম। এবার বুঝি ঢ়িল পড়বে। ও কি সেই ছেলে ? বিয়ের একমাসের মধ্যে বৌমাকে পর্যন্ত কাজে লাগিয়ে দিল! ওর সঙ্গে আমাদের তুলনা ?” পূর্ণেন্দুর স্ত্রী কনক বিয়ের সময় কলেজে পড়ার আলাস্তে বেশ মােটা সোটা ছিল, পাঁচটি ছেলেমেয়ে বিইয়ে আর সংসারের কাজে অবিশ্রাম খেটে খেটে মেদ ক্ষয়ে গিয়ে এখন বেশ ছিপছিপে চেহারা হয়েছে। সে হেসে বলে, “ওটা ঠাকুরপোর গায়ের ঝাল। ঝাড়া, আমায় টানতে পারেনি। কিনা ।” আজ সে হেসে একথা বলে, কিন্তু একদিন গায়ের জালাতে সংসারে তীব্ৰ অশান্তি সৃষ্টি করেছিল, শেষ পৰ্যন্ত কৃষ্ণেন্দু আর সন্ধ্যাকে তাড়িয়েই দিয়েছিল বান্ধী থেকে। তাড়িয়ে দিয়েছিল সন্ধ্যাকে নীচু করার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর। একদিন বানিয়ে সে একটা গল্প বলেছিল কৃষ্ণেন্দুকে। হীরেন তখন عنيفة SY) o