পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

၇ကျိရ ‘গোড়াতেই দিলে না কেন তবে ? কৃষ্ণেন্দু যেন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মমতার মুখের দিকে। —“আমাকে তুমি কি ভাব বল দিকি মমু? মাঝে মাঝে আমার কি মনে হয় জানো ? আমাকে তুমি মানুষ ভাবে না, যন্ত্রটন্ত্ৰ মনে কর। আমি যাই বলি যাই করি, সব কিছুর একটা বিশেষ মানে থাকা চাই তোমার কাছে, উদ্দেশ্য থাকা চাই। কেন दलङ ?' “কি জানি। সত্যি ওরকম ভাবি নাকি তোমাকে ?” ‘মনে তো হয়। বেশী মিষ্টি খেলে পুতুলের পেট কামড়ায়, তাই প্ৰথমে না। বলেছিলাম। একটা মোরব্বা খেলেই যে পেট কামড়াবে তার কোন মানে নেই। তাই শেষে বললাম, খাও। অত কড়াকড়ি করা যায় না খুঁটিনাটি সব বিষয়ে ।” “তই নাকি ?’ খোচা দিয়ে মমতা বলে, “কড়াকড়ি কিছু কম করা হয়েছে বলে তো মনে হয় না ? তুমি বললে, নিও না, বাস, ওইটুকু মেয়ে বৌদির কাছ থেকে খাবার নিলে না। তুমি বললে, নাও । আমনি ও হাত বাড়িয়ে দিলে। এতো প্ৰায় মিলিটারি ডিসিপ্লিন ! এটা আপনা থেকে শিখেছে মেয়েটা, না ?” এবার কৃষ্ণেন্দুর মুখ কৌতুকের হাসিতে ভরে যায়,-“বৌদি ঠিক বলেছে ময়ু, তুমি পাগল হয়ে গেছ। তুমি ভাবিছ আমার ভয়ে পুতুল বৌদির কাছে খাবারটা নিতে চায় নি ? কি বুদ্ধি তোমার! আমি দেব না বলায় ওর অভিমান হয়েছিল। আমি হার মেনে নিতে না বললে ও কি করে মোরব্বা নেয় ? ছোট ছেলেমেয়ের অভিমানও চেনা না ? চিনবে, নিজের হোক, তখন টের পাবে “এ জন্মে। আর আশা নেই টের পাবার।’ ঘরে এসে তারা বসেছে। পুতুলের সঙ্গে কনক এসে বলে, “তোমার মেয়েকে নিয়ে আর পারি। নে ঠাকুরপো। মাথা তো খেলে ওর তুমি আস্কার দিয়ে দিয়ে ? এত করলাম, কিছুতে শোয়াতে পারলাম না মেয়েকে !” কৃষ্ণেন্দু কড়া গলায় বলে, ‘পুতুল! শীগগির শুয়ে থাক গে।” 'শোবি না যাও!” সোজা এগিয়ে এসে পুতুল কৃষ্ণেন্দুর কোল দখল করে বসে পড়ে। মমতার দিকে চেয়ে কৃষ্ণেন্দু অসহায়ের মত বলে, “একদম ডিসিপ্লিন মানে नों भयू ।' ‘খুচিও না কেষ্টদা, ভাল হবে না। আমার বলে মাথা ঘুরছে বো বেঁী করে, SSS