পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शबिं (श्र्व्वौ হয়। মমতার জন্য। নরেশের থাকার ব্যবস্থা হয় দুর্গার ঘরে। দজি গোপালেরও দু’খানা ঘর, তার পরিবারের মেয়েপুরুষ কজনকে চেলে নিয়ে একটা ঘরে তার দুই ছেলে আর জামাইয়ের সঙ্গে সুরেশকে থাকতে দেওয়া হবে স্থির হল। কাজ থেকে বাড়ী ফিরে খবর শুনে সুরেশ গেল চটে। 'ধুত্তেরি। যতো সব-ওই শালী এসে থাকবে এখেনে, ওই বেম্মো মাগী ? থাকো তোমরা-আমি বাবা চললাম ।’ বলে সে সুবালার ওখানে চলে গেল । দিন তিনেক সত্যই তার টিকিট দেখা গেল না । মমতা নিজে এসেছিল। মিষ্টি করে হেসে সুন্দর করে সবাইকে জানিয়ে গিয়েছিল যে তাকে যেন সবাই আপন মনে করে। ভদ্রলোকদের সে যৌন্না করে, তাই একেবারে ছোটলোক বনে গিয়ে এদের সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় । সে চলে যাবার পর লক্ষ্মী সকলের মনের ভাবকে প্ৰথমে ভাষা দিল, “মোরা ছোট লোক ৷” দুৰ্গা বিশদ করে বলল, “খালি ডিঙ্গি মেরে বেড়ালে বিগড়ে যাবে না মাথা মেয়েলোকের ? বাপ সোয়ামীর টাকায় মোটর চাপেন, পুরুষ চাখেন, কি চিরমিচির করেন। দিনরাত । ক’তকাল আর ভাল লাগে বল ? এমনি ঢং করতে হয় তখন ৷” “মোদের তরে জীবন দেবে গো জীবন দেবে!” বলে বিন্দের বৌ । “এখানে জীবন দিতে আসা কেন ? পুষ্প শুধোয়। ‘টাকার গরম বড় গরম !” ক্ষান্ত পিসী মন্তব্য করে । রস্তা মোড় ঘুরিয়ে দেয় কথার।-“কি যে বল সব তোমরা ? ছিঃ ছিা! বড়লোকমি দেখলে কোথা ওর, টাকার গরম ? কেষ্টবাবুর শিস্য উনি জানো না ? নিজে গড়ে পিটে মানুষ করেছেন ওকে কেষ্টবাবু? সবই চেপে গেল তারপর, শুধু লক্ষ্মী ছাড়া। ‘রাজা করেছেন।” বলল লক্ষ্মী । ধুয়ে মুছে সাফ করে রাখা হল ঘরখানা মমতার জন্য। জিনিষপত্ৰ সামান্যই সঙ্গে আনিল মমতা। একটি বড় আর একটি মাঝারি চামড়ার সু্যটকেশ,বিছানাপত্ৰ এবং বেতের বাস্কেটে একজনের মত সদ্য কেন কম দামী বাটি ঘটি গেলাস কেটলি চায়ের কাপ ইত্যাদি তৈজসপত্র। আসবাব এলো না একটিও। পায়ার নীচে ইট SR 8