পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांबिक jछांदव्ौ করেছে। বলেছে, “আমার কি টাকা আছে যে দেব ? আমি যে তোমাদের মত গরীব ।” তাছাড়া, তার কথা শুনে মেয়েরা কিছু অবাধ্য হতে শেখায় আর মেয়েদের উচিতমত শাসন করতে না পারায় পুরুষরা বিরক্ত হয়েছে। মেয়ের বিরক্ত হয়েছে। পুরুষদের এক একজনের সঙ্গে যখন তখন এক এক সে গুজগাজ ফিসফাস কয়েকদিনের মধ্যে তাই চারিদিকে বিদ্রোহ মাথা তুলতে আরম্ভ করে। কেবল কথা না শোনার বিদ্রোহ নয়, ঝাঁঝালো আক্রমণ। হৃদয়ে হৃদয়ে গভীর বিদ্বেষ গুমরে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ দ্বিধা ভয় সঙ্কোচের বঁাধন ছিড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। মমতা চমকে উঠে দিশেহারা হয়ে যায়। বিন্দের বৌ দশমাস পোয়াতি। বিন্দের বৌকে দু’চারটে কথা জিজ্ঞেস করে মমতা, লজ্জায় কাঠ হয়ে জবাব দেয় বিন্দের বৌ, মানে বুঝতে পারে না তার প্রশ্নের , মনে মনে ভাবে যে পাগল নাকি মানুষটা ? তারপর মমতা লাগে বিন্দের পিছনে। তাকে বোঝায় যে, বৌকে তার এখন বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া উচিত, নয় তো ভিন্ন শোয়া উচিত তাদের। এটুকু কাণ্ডজ্ঞান নেই বিন্দের ? সে কি পশু ? বিন্দের কাছে ব্যাপার শুনে বিন্দের বৌ বোঝাপাড়া করতে আসে । বলে, “কত আর ঢং করবে দিদি ? ঢং দেখে বঁচিনে তোমার।’ তুমিই তাকে বলে বিন্দের বেী। এখানে এসে অনেক চেষ্টা করেও মমতা’ কাউকে তুমি বলতে পারে নি, আজ বিন্দের বৌ নিজে থেকেই অন্তরঙ্গ সম্বোধনটা ব্যবহার করে। ‘গড় করি তোমার পায়ে দিদি, ধম্মো দেখালে বটে মেয়ে মানষের । একসাথে শুই বা না শুই তোমার তাতে কি শুনি ? মতলব বুঝিনে তোমার আমি ? সে গুড়ে বালি তোমার দিদি, ওদিকে নজর দিও না। বাপের বাড়ী যাই তো। ওকে সাথে নিয়ে ঢাক বাজিয়ে যাব, তোমার খপ্পরে রেখে যাব ভেবো না । নিজের সোয়ামী ছেড়ে পরের সোয়ামী নিয়ে টানাটানি, দড়ি জোটে না গলায় ?...’ সৈারভীকে তার স্বামী মারে। কোনদিন সোহাগ করে, কোনদিন মারে। কোনদিন সোহাগ করে মারে, কোনদিন মেরেও সোহাগ করে। একরাত্রে সে কব জী আর কনুই ধরে ভেঙ্গে ফেলবার চেষ্টা করেছে সৈারভীর হাত, সৈারভী প্ৰাণপণে চেচাচ্ছে “বাবাগো, মাগো, মেরে ফেল্পে গো, বাড়ীর লোক কেউ শুনছে > ○8