পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 死外a কৃষ্ণেন্দু তাকে ভরসা দেয়। “আমি তোমাকে কাজ দেব। জগতে কাজের অভাব আছে ? অত হতাশ হয়োনা । নিজেকে অপদার্থ মনে করার কোন কারণ ঘটেনি। একটা প্ৰবাদ আছে জানো তো, যার কাজ তারে সাজে অন্যে করলে লাঠি বাজে ? যে কাজ তোমার নয়, তাই তুমি করতে গিয়েছিলে, লাঠিও বেজেছে। বলা যায়, তুমি ভুল করেছি। কিন্তু এতে প্ৰমাণ হয় না কোন কাজের যোগ্যতা তোমার নেই। মন খারাপ করে না। কত বড় একটা অভিজ্ঞতা হল বল দিকি ? তার দাম কি কম ? “কেমন ধাধা লেগে গেছে সব বিষয়ে। যে রকম ভেবেছিলাম কিছুই যেন সেরকম হল না । হীরেনের জন্যও তো সে রকম মন খারাপ হল না ? এটা অদ্ভুত ঠেকেছে কেষ্টদা, সবই কি ফাকি আমার মধ্যে ? ‘বিষাদ জমজমাট হয় নি, না ? কি করে হবে বলে ? বিরহ বেদনাকেও জোরালো করতে হলে কালচার করা দরকার হয়। রীতিমতো সাধনার ব্যাপার। তোমারও হত, কিন্তু তুমি তো মোটে সুযোগ দিলে না। নিজেকে নিয়ে আড়ালে সরে যেতে, একলাটি নিজের মনে শুধু ভাবতে যে বিচ্ছেদ যখন হয়েছে। একজনের সঙ্গে আর বঁাচা কেন, দেখতে বিরহ কেমন চড় চড় করে চড়ে যায়, কি অসহ্য হতে পারে বিরহ ; “ভালবাসা, বিরহ এসব তবে মনের বিকার তোমার কাছে ? প্ৰশ্ৰয় দিলে বাড়ে, নইলে নিজীবি হয়ে থাকে ?” ‘পাগল, ভালবাসাকে বিকার ভাবতে পারি,ভালবাসার ক্ষমতাই যখন মানসিক সুস্থতার সব চেয়ে বড় লক্ষণ ? কিন্তু ভালবাসাও তো মনোরি ধর্ম। অনুশীলনের নিয়মটা ভালবাসার বেলাতেও বাদ পড়ে না, বিরহের বেলাতেও নয়।’ “কিন্তু আর একটা মুস্কিল হয়েছে। বিরহের অভাবটা নয় বুঝলাম। কিন্তু বিতৃষ্ণা ? বিরহ না হলে কি বিতৃষ্ণ হয় ? ওর কাছে ফিরে যাব। কিনা ভাবছিলাম। ভাবতেও এমন বিশ্ৰী লাগিছে!” কৃষ্ণেন্দু ভাতের গরাস মুখে তুলছিল, নামিয়ে রাখল। মমতা হাই তুলে বলল, “আরও শুনবে ? আরিফের জন্য আমার মন কেমন করছে।” কৃষ্ণেন্দু মাথা নীচু করে খেয়ে যায়। তাদের এখন আর মোটেই গুরু ও शिशु]ांद्र शड भge श्न भी । 2 ܠ