পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शञि ७छ्र्व्वौ ওসমান বলল, “আপনি কেন যাবেন ? ডেকে পাঠাচ্ছি। ওদের।” 'চলুন না। আমরাই যাই। তাতে দোষ নেই আলি সা’ব।” অনিচ্ছােক ওসমানকে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণেন্দু গলি ধরে এগিয়ে চলল। ক্রমে ক্রমে পথ হয়ে এল সঙ্কীর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন। পথের ধারে জলের কলের কাছে বালতি কলসী নিয়ে পাঁচ সাতটি স্ত্রীলোক দাড়িয়ে আছে। রুক্ষ চুল, রুগ্ন দেহ, সায়া সেমিজের অভাব্যবশতঃ ময়লা শাড়িখানিই দুফেরত জড়ানো। পথের ধারে চাল ডাল তেল মসলার দোকানে নারী পুরুষ দৈনিক সওদা কিনছে, छ्'\qक, আধপয়সার। এরা তেল, নুন পর্যন্ত দিন কিনে দিনের প্রয়োজন মেটায়, একসঙ্গে কয়েকটা দিনের সওদা কিনে রাখবার পয়সা নেই। একটি খোট্টা মেয়ে তিনটি ছাগল তাড়িয়ে ডাইনের একটা বাড়ীতে ঢুকে পড়ল, তকমা আঁটা এক চাপরাসী এলুমিনিয়ামের পাত্ৰ হাতে বাড়ীর সামনে দাড়িয়ে আছে, কোন এক বাবুর ছেলে ছাগলের দুধ খায় । \কোথা থেকে ভিজে কাপডে আবিভূতি হয়ে একটি স্কুলাঙ্গী বাঙ্গালী যুবতী ওই বাড়ীতেই প্ৰবেশ করার সময় কৃষ্ণেন্দুর সামনে নিভীক নির্লজ্জতার সঙ্গে চাপরাসীকে বিলোল কটাক্ষ হানল, অকারণে থমকে দাড়িয়ে ভাল করে নিজেকে ঢাকবার ছলে মুহুর্তের জন্য বুকের আবরণ সরিয়ে দিল, তারপর ক্রুদ্ধ উপেক্ষার ভঙ্গিতে নাক সিটিকে মুখ উচু করে ভেতরে চলে গেল | হীরেনের চোখ কপালে উঠে গেছে দেখে কৃষ্ণেন্দু একটু হাসল। ‘এটা বিজ্ঞাপন ভাই। পাজীর বিজ্ঞাপনের চেয়ে অশ্লীল ঠেকল ? চাপরাসীটা যদি কেনে, আজ ওর আট আনা রোজগার হবে, কাল কুঁচো চিংড়ি আনিয়ে পেট ভরে ভাত খাবে। জোরালো শরীর বলে ওর খিদের তাগিদটা একটু বেশী। ব্যায়রামে ভুগে যখন শরীরটা ভেঙ্গে পড়বে, খিদে কমে যাবে, তখন আর এরকম অভদ্রতা করবে না।” ‘ওকে চিনিস ? “চিনি । ওর নাম কালী । ভীষণ দজাল । বেচারীর কপালটা বড় মন্দ । না খেয়ে না খেয়ে স্বভাবটা বেশ নরম হয়ে আসে, একজন কাউকে পাকড়িয়ে তার সঙ্গে কয়েকদিন খুব ভাল ব্যবহার করে। পেট ভরে খেয়ে গায়ে জোর হলে আবার আসল মৃতি বেরিয়ে পড়ে। কাউকে নিজে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়, কেউ আপনার থেকে পালায়।’ বা দিকে দু’হাত চওড়া একটা গলির মধ্যে প্রথমেই ম’বুবের বাড়ী। তিনজনে S R