পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(၇ဓါးရ কনক বলল, “রম্ভ দু’বার তোমার খোজ করে গেছে ঠাকুরপো ।” “রম্ভ খবর পেয়েছে নাকি ?” ‘খবর জানতে এসেছিল ।” রামপালের বাড়িতে খবর দিতে যাওয়ার আগে হীরেনকে সে ফোন করল । বলল, “কিছু টাকা খসাতে হবে ভাই। কাল বারোটার মধ্যে হাজার খানেকের একটা চেক ভাঙ্গিয়ে রাখিস ।” ‘আমার টাকা নেই।” “রম্ভার বাবা খুন হয়েছে।” “রামপালের বৌ রাস্ত ? কবে ? কোথায় ?” খবর দিতে কৃষ্ণেন্দু এত রাতে রামপালের বাড়ী যাবে শুনে হীরেন একটু ভেবে বলল, ‘দাড়া আমিও আসছি।” কৃষ্ণেন্দুর গলার আওয়াজ পেয়ে রম্ভ বিছানা ছেড়ে উঠে এসে বলল, “ভিতরে আসেন মেজবাবু।” একটি মাত্ৰ বেতের মোড়া রম্ভার সম্বল । মোড়াটি হীরেনকে দিয়ে সে পিাড়ি পেতে কৃষ্ণেন্দুকে বসতে দিল। রামপালকে আগেই জাগিয়ে দিয়েছিল, আবার সে পাশ ফিরে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ার উপক্রম করছে দেখে জোরে জোরে ঠেলা দিয়ে কাণে কাণে ফিসফিস করে বলল, “ক্যামনধারা মানুষ তুমি ? উঠে বসে হাতের আড়ালে রামপাল মস্ত হাই তুলাল, রূষ্ণেন্দু আর হীরেনের সম্মান রাখতে চৌকী" থেকে নেমে মেঝেতে বসে নিদ্রালিস ডোথে দু’জনের দিকে তাকিয়ে রইল । রম্ভার চোখে গভীর ঔৎসুক্য এবং উৎকণ্ঠ । বারবার সে কৃষ্ণেন্দুর মুখের দিকে তাকাতে লাগল, কিন্তু হঠাৎ কিছু জিজ্ঞাসা করতে তার সাহস হল না। মুখচোখের ভাব একান্ত নির্বিকার রেখে কৃষ্ণেন্দু জিজ্ঞেস করল রামপালকে, “তোমার শরীর কি ভাল নেই রামপাল ?” মাথায় একটা ঝাকি দিয়ে লজ্জিতভাবে রামপাল বলল, “আজ্ঞে, যা বলেন।” ‘সিদ্ধি গিলেছ, না ?” রামপাল চুপ।। "তুমি একটি অদ্ভুত জীব, রামপাল।” কৃষ্ণেন্দু মৃদু ও অমায়িক হাসির সঙ্গেই বলে, “তোমার মত আর দেখলাম না । এমন আলসে অকৰ্মণ্য হয়ে থাক কেমন করে ? SVN