পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဓုဗါရ খোলার ঘরে আজ মাঝ রাত্রে অনায়াসে যে অদ্ভুত এক প্রভাব সে সৃষ্টি করল, উৎসাহী, চিন্তাশীল দরদী মানুষের বড় বড় আসরে প্রাণপণ চেষ্টাতেও সে তা কোনদিন পেরে ওঠেনি। সে চুপ করে যাবার পরেও কিছুক্ষণ পর্যন্ত মনে হতে লাগল, পুরাণো লণ্ঠন থেকে যেমন আবিরাম ক্ষীণ লালচে আলো ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনিভাবে এই মানুষটার ভেতর থেকে বিচ্ছরিত হচ্ছে সারা বিশ্বের নিপীড়িত আত্মার, শুধু আজকের নয়। গত এবং আগামী কালেরও, অফুরন্ত স্পন্দন। তার মুখের দিকে তাকিয়ে ঘরের নরনারী ক’জন স্তম্ভিত হয়ে বসে। রইল। আজ তাদের প্রথম ভারবাহী পশুর জীবনের উপলব্ধি এসেছে। প্ৰতিবাদ করল রামপাল। সে বিরক্ত হয়ে উঠেছে। “এমন করে শোকটা কি উস্কে দিতে হয় কেষ্টবাবু? রাত ভোর গোঙাতে लi१८द ।” দমকা বাতাসে যেমন ধোয় উড়ে যায়, রামপালের মন্তব্যে তেমনি উড়ে গেল এতগুলি হৃদয়ের তীব্ৰ তপ্ত অনুভূতির বাষ্প। মুখে মৃদু হাসি, দেখা দিয়েছে খেয়াল হওয়া মাত্র হীরেন তাড়াতাড়ি মুখখানা অত্যধিক গম্ভীর করে ফেলল। হঁ। বুজে আবার চোখ ছলছলিয়ে এল রম্ভার। খাল ধার থেকে ফুরফুরে হাওয়া আসছে ছোট জানলাটি দিয়ে, জানলার পাটে লেজ বাকিয়ে বঁকিয়ে পোকা ধরছে একটা টিকটিকি। ওদিকে ঘুম ভেঙ্গে কঁদিছে দুর্গার ছেলে। কথা কইতে মনে হল কৃষ্ণেন্দুর গলাটা যেন একটু ভোতা হয়ে গেছে। “বেশী কঁদোকাটা কোরো না রম্ভা । কাল এখানকার সব ব্যবস্থা করে। পরশু। ঝুমুরিয়া যাব। তোমার কাছে প্ৰতিজ্ঞা করে যাচ্ছি, তোমার বাবার মরণের একটা वैिश्डि भी कtद्ध द्भिद = ।' শুনে রম্ভ আবার কঁদবার উপক্রম করে বলল, “আমিও যাব ঝুমুরিয়া।” কৃষ্ণেন্দু বলল, “আমি তো আর তোমায় নিয়ে যেতে পারব না রম্ভা, রামপালকে বলে ।” রম্ভ সজল চোখে রামপালের দিকে চেয়ে রইল। কিছুক্ষণের জন্য মনে হল রামপাল বুঝি কোন জবাব দেবে না। তারপর ধীরে ধীরে সে বলল, “তা একবার নিয়ে যেতে হবে বৈকি।” খানিক পরে কৃষ্ণেন্দু আর হীরেন বিদায় নিল , নরেশ ঘরের বাইরে দুয়ারের কাছে উবু হয়ে বসে ছিল, সেদিন মার খাওয়ার পর থেকে সহজে সে SVe