পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शाबिक @iछ्दर्ली অত্যধিক গরম রামপাল তা ভাল করেই জানে। চুপচাপ অন্যায় অত্যাচার সহ করার ছেলে সে নয়। সে যে কি আরম্ভ করেছে। ভগবান জানেন। বীরেশ্বর ছাড়া ঝুমুরিয়ার আরও কয়েকজন হেরম্ব চক্রবর্তীর সঙ্গে শক্রিতা করেছিল, তারা অবশ্যই ইতিমধ্যে তার অনুগত হয়ে যায়নি। সুতরাং ঝুমুরিয়ার অবস্থা এখন বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এই অবস্থায় কৃষ্ণেন্দু সেখানে চলেছে বীরেশ্বরের অপমরণের বিহিত করতে। রম্ভাকে সে কথা দিয়েছে। তার গো রামপালের অজানা নয়। ঝুমুরিয়ার মানুষগুলি যদি ঝিমিয়ে পড়ে থাকে, সে গিয়ে তাদের ক্ষেপিয়ে তুলবে। নিবু নিবু, আগুনে বাতাস দিয়ে দিয়ে, নেভা আগুনের ছাই-এ তেল ঢেলে, সে আবার দাউ দাউ করে আগুন জালিয়ে দেবে। তখন ঝুমুরিয়ায় বাস করা মোটেই সঙ্গত হবে না। রম্ভাকে একবার না নিয়ে গেলেও নয়। সবদিক বিবেচনা করে রামপাল তাই কৃষ্ণেন্দুর একদিন আগে ঝুমুরিয়া গিয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করাই ভাল মনে করেছে। যদি বোঝে ব্যাপার সুবিধে নয়, একরাত্রি সেখানে বাস করে কৃষ্ণেন্দু গিয়ে পৌছবার আগেই রম্ভাকে নিয়ে কলকাতা ফিরে আসবে। ফিরে যদি রান্ত আসতে না চায়, জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। কঁদোকাটা যদি একটু করে তো করবে, উপায় কি ! এত সব চিন্তা করে সকাল আটটার গাড়ীতে রম্ভাকে নিয়ে রামপাল ঝুমুরিয়া রওনা হল । গাড়ীতে ছিল অসম্ভব ভিড়, প্ৰত্যেকটি থার্ড ক্লাস কামরায় গরু ছাগলের মত গাদাগাদি করে মানুষ উঠেছিল, চিরদিন যেমন ওঠে। ভিড় ঠেলে উঠবার সময় রম্ভ একবার একে বেঁকে দুলে উঠে বিশ্ৰীভাবে মুখ বাকিয়েছিল। দাতে দাত চেপে রামপাল শুধিয়েছিল, “কেরে ? কোন লোকটা ?” রম্ভ জবাব দেয়নি। শুধু মাথা নেড়েছিল। ‘দেড়া ভাড়ার টিকিট কিনি ? ' || একদিকের লম্বা বেঞ্চের শেষ প্ৰান্তে বসেছিল। মাঝবয়সী একটি স্ত্রীলোক এবং তাকে পুরুষের স্পর্শ থেকে বাচাতে তার এপাশে ছিল কানে আধপোড়া সিগারেট গোজা টেরিক্যাটা তার সঙ্গী । মোলায়েম হাসির সঙ্গে রামপাল সকরুণ আবেদন জানাতে সে রাস্তাকে যায়গা ছেড়ে দিয়ে দু’টি বেঞ্চের মাঝখানে নিজের বেঁচেকার ওপর বসল। রামপাল কৃতজ্ঞতাও বোধ করল না, খুন্সীও হল না। লোকটার So