পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী “দশ বিশটা খুন হতে পারে।'

  • ऊ| श८ऊ श्रi८ || si& श८ऊ श्रi८ ।।'

ঘরের ঠিক বাইরে টুপ করে একটা আম খসে পড়ার শব্দ কানে এল। সিগারেট টানতে টানতে দু’বার কথা বলতে গিয়ে হীরেন চুপ করে গেল। সেও বাইরে থেকে এসেছে, দাঙ্গাকারীদের নেতা কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে। অন্ততঃ আগামী দশটা বছর হাজতবাস না করে তার আর বোধ হয় উপায় নেই। মুখ থেকে সিগারেট নামাতে গিয়ে হাতটা থর , র করে কঁপিছে দেখে হীরেন। একটু আশ্চর্য হয়ে গেল। ক্ষুন্নাও হল। এত বেশী ভয় তো সে পায়নি ! অথবা মনের মধ্যে যে অদ্ভুত প্রক্রিয়া চলছে তাকেই ভয় বলে ? এমন সময় নরেশের সঙ্গে এল রম্ভ। হেরম্ব সম্পর্কে কৃষ্ণেন্দু ঠিক কি ঠিক করেছে জানিবার জন্য সে উতলা হয়ে উঠেছে, বেলা পড়ার জন্য ঘরে বসে অপেক্ষা করতে পারে নি। কদিনে তার মুখখানা শুকিয়ে গেছে, সেই মুখ রোদের ঝাঝে লাল হওয়ায় লাবণ্যের এমন ক্ষতি হয়েছে যে দেখলে আপশোষ জাগে। রুক্ষ চুল এলোমেলো হয়ে আছে। গায়ে জামা দেয় নি, আচলটাও জড়িয়েছে অসতর্কভাবে। রম্ভার এমন মৃতি হীরেন। কখনো দেখেনি। হঠাৎ সে মদের পিপাসা অনুভব করে, যে পিপাসা আজকাল মন নাড়া খাবার সঙ্গে এমনি হঠাৎ ক্ষীণ ভাবে জাগে আর মিনিটে মিনিটে জোরালো হতে হতে একেবারে অদম্য হয়ে দাঁড়ায়, অকথ্য যন্ত্রণায় কেবলি সাধ হতে থাকে মদের পুকুরে ডুবে আত্মহত্যা করবার। এক মুহুর্তে হীরেনের মুখ পাশুটে হয়ে যায়, স্নায়ুগুলি শির শির করে ওঠে। কাল যদি তার কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে জেলে যেতে হয়, মদ সে পাবে কোথায় ! মদ না খেলে তার চলবে না। আজ তার সব খেয়াল আছে, কালও হয়তো কিছু কিছু থাকবে, কিন্তু পিপাসা বাড়তে বাড়তে পরশু তো তার কাছে আত্মীয় বা বন্ধু বলে কিছু থাকবে না, সমাজ সংসার শূন্যে মিলিয়ে যাবে। মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে থেকে সে নিজের সাময়িক অসহ্য যন্ত্রণা সারায়, মদ তার ওষুধ, চিকিৎসা। মদ না পেলে সে যে পাগল হয়ে যাবে একেবারে ! “শোভাযাত্রা করে কি করবেন কেষ্টবাবু? রম্ভ জিজ্ঞেস করল। “দেখি কি করি।” “দশজনে মিলে চেচিয়ে গায়ে পাক দিয়ে এলে ও লোকটার কি হবে ! মোর বাপের মরণের আসল বিহিত কিছু করুন কেষ্টবাবু, পায়ে ধরি আপনার। SGdR