দৰ্পণ ‘আসল বিহিত ? আসল বিহিত মানে কি রম্ভ ?” ‘ওকে-ওকে-, ওর নাক কান কেটে দিন, দু'চোখ কানা করে ফেলুন, সবার সামনে খোঁটায় বেঁধে চাবকে দিন। দু'রাত ঘুমোইনি কেষ্টবাবু, ও লোকটার কথা ভাবলে মাথায় আগুন ধরে যায় ।” রম্ভার দু'চোখ জল জল করে, সত্যই যেন চোখের আড়ালে মাথার মধ্যে তার আগুন ধরে গেছে । মুখপোড়া ভগবান তাকে মেয়েমানুষ করেছে, তার ভাইগুলোকে করেছে মেয়েমানুষের বাড়া, নইলে কুকুর বেড়ালের মত তার ব্যাপকে মেরে হেরম্ব কি আজও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াতৃে পারে বুক ফুলিয়ে! রম্ভ তাকে দেখে নিত। একচোট দেখে নিত রম্ভ তাকে । ঠোঁটে চেপে চেপে, দাতে কেটে কেটে রম্ভ বলে আর তার সেই তেজের প্রকাশ দেখে হীরেন মুগ্ধ হয়ে যায় । প্ৰথমে রম্ভার শুধু ছিল শোক আর বাপের হত্যাকারীর বিরুদ্ধে সাধারণ স্বাভাবিক বিদ্বেষ, সুর করে মড়াকান্নার সঙ্গে কতগুলি ভয়ঙ্কর অভিশাপ দিতে দিতেই যার জাল কমে যাওয়া উচিত ছিল । কিন্তু রাস্তার জালা যেন হীরেনের মদের পিপাসার মতই ক্ৰমে ক্ৰমে বেড়ে বেড়ে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দিবারাত্ৰি এই এক চিন্তা তার মনের মধ্যে পাক খেয়ে বেড়ায়, হেরম্বকে শান্তি দেওয়া । আর কিছু সে ভাবে না, ভাবতে পারে না । হীরেন বলতে যায় : “কিন্তু হেরম্ব ষে তোমার ব্যাপকে মেরেছে রম্ভা-” ‘কে মেরেছে। তবে ? কে মেরেছে ?” তীব্ৰ তীক্ষু গলায় রম্ভ যেন আর্তনাদ করে ওঠে তার চীৎকার শুনে দিগম্বরী ছট এসে থমকে দাড়ায়। রম্ভ গ্ৰাহও করে না, গলা একটু নামিয়ে বলতে থাকে আপনার পুরুষ মানুষ, প্যাচালো কথা কয়ে এড়িয়ে যেতে সরাম লাগে না ? সিধে। কথা বলুন না, পরের জন্য কেন বিপদ ঘাড়ে করবেন!” কৃষ্ণেন্দু বলল, “আহা মাথা গরম কর কেন ? তোমার মনের মত ব্যবস্থা করব।” “কি ব্যবস্থা ? SBBBDDSS BDDD S DKS J LD DBB DBBD SS দিগম্বরী মুচকে হেসে সরে গেল । সরে গেল বাড়ীর একেবারে অপর প্রান্তে, সেখান থেকে প্ৰাণপণে চেচিয়ে প্রতিবেশিনী কার সঙ্গে কথা বলে গলার আওয়াজ কৃষ্ণেন্দুর কানে পৌছে দিল, তারপর নিঃশব্দ দ্রুতপদে ফিরে এল এ ঘরের পাশে ভাড়ার ঘরে। দেয়াল ঘেষে দাড়িয়ে কান খাড়া করে শুধু বোঝা গেল Y. W. Su(e)
পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
