পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী কৃষ্ণেন্দু কথা বলছে, কথাগুলি শোনা গেল না। হাসিমুখে ঘাড় কাত করে সে কিছুক্ষণ পাথরের মূর্তির মত দাড়িয়ে রইল, কিন্তু গলা কৃষ্ণেন্দুর চড়ল না। ’ মুখে হাসি নিয়েই দিগম্বরী তখন শোবার ঘরে ফিরে গেল, শশাঙ্ককে বলল, ঠাকুরপো কি যেন মতলব আঁটছে। আমরা না বিপদে পড়ি ।” কৃষ্ণেন্দুর কথা শেষ হলে রম্ভ হতাশ ভাবে বলে, “কিন্তু হেরম্বের কি শাস্তি হবে কেষ্টবাবু? ও নয়। আর অত্যাচার না করল, সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিল, ওতে ওর কি হবে ? মোর ব্যাপকে মেরে ওতো টেক্কা মেরে বেঁচে থাকবে, গায়ে ऊँiष्gBि व्ला5igद 2 ।” l “অ্যাচড় লাগবে রম্ভ। বুকে অ্যাচড় লাগবে। কেটে কেটে লঙ্কা বাটা লাগিয়ে দেয়ার চেয়ে বেশী জলবে ওর বুকটা-নিজের বুকটা-নিজের জ্বালায় নিজে পুড়ে মরবে। তুমি বুঝতে পার না, এ অঞ্চলে আর কোনদিন ও জুলুম চালাতে পারবে না, মাথা তুলতে পারবে না। কেউ আর ওকে ভয় করবে না। শুধু হেরম্ব নয়, আর যে কেউ অত্যাচার করতে আসবে, এখানকার লোকেরা জানবে কি করে এক হয়ে তার সঙ্গে লড়ে তাকে হারাতে হয় ? হেরম্বকে মারলে তো একটা হেরম্ব মারবে, আর এ ভাবে আমরা সব হেরম্বকে ধবংস করার কাজ শুরু করতে পারব । বীরেশ্বরের প্রাণ দেওয়া সার্থক হবে ।” আরও কিছুক্ষণ রম্ভাকে বুঝিয়ে কৃষ্ণেন্দু বাইরে যায়। কয়েকজন লোক তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। ক্ষোভে ও হতাশায় রম্ভাকে নিঝুম হয়ে যেতে দেখে হীরেন বলে, নরেশ, তুই একটু বাইরে যা দিকি।” কুরিয়ে কুরিয়ে তার দিকে চেয়ে নরেশ চলে গেলে হীরেন বলে, “কেন তুমি ভাবিছ রম্ভ ? হেরম্বের ব্যবস্থা কেষ্ট করবে । ওর মতলব আছে। সব কথা কি ফাস করা চলে ? তোমায়। তাই বাজে কথা বুঝিয়ে গেল। কাল দেখো কি श् ।' রম্ভাকে যেন বিদ্যুৎ ছোয়। চোখ দুটি তার জলে ওঠে।-“কি হবে ছে কাল ? “দেখো। কেষ্টর মতলব ঠিক আছে।” “কি মতলব ? বলুন মোকে। পায়ে ধরি বলুন।” একটু ইতস্ততঃ করে হীরেন। তার আশঙ্কার কথা এমন ভাবে বলে রম্ভাকে ষে S8