পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဓုကျိရ তার মানে দাড়ায় এই ; দাঙ্গা বাধিয়ে হেরম্বকে বীরেশ্বরের মতই কৌশলে মেরে ফেলবার আশাতেই শোভাযাত্ৰাট কৃষ্ণেন্দু বার করছে। কৃষ্ণেন্দুকে চেনে না রম্ভ ? হেরম্বকে শেষ না করে সে কলকাতায় ফিরে যাবে ? কৃষ্ণেন্দুর দাঙ্গার পরিকল্পনার কথা শুনে রম্ভার মুখ হঁহা হয়ে গিয়েছিল। নাক কান কাটা নয়, চোখ কানা করা নয়, একেবারে খুন হয়ে যাবে হেরম্ব ! “দাঙ্গা যদি না বাধে ছোটবাবু? “বাঁধবে। কয়েকজন মাথাগরম ছেলেকে তালিম দিয়ে নিয়ে যাবে। আরও কি সব আয়োজন করেছে, আমি সব জানি না ।” সুতরাং খানিক পরে কৃষ্ণেন্দু ফিরে এলে সভয় ভক্তিতে গদগদ হয়ে রম্ভ গলায় অ্যাচড় জড়িয়ে তার পায়ের কাছে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্ৰণাম করল । 'আপনি সত্যিকারের মানুষ। আপনাকে গড় করি কেষ্টবাবু।” কৃষ্ণেন্দু, খুশী হয়ে বলল, “বুঝতে পেরেছ তো আমার কথা ? আমি জানতাম তুমি বুঝতে পারবে রাস্তা।” বিদায় নিয়ে রম্ভ বারান্দায় গেছে, হীরেন উঠে গিয়ে বলল, “এসব কথা কাউকে বোলো না রম্ভ।” “তই কি বলি ছোট বাবু!” । খুশীতে উত্তেজনায় জোরে কয়েকবার শ্বাস টেনে রম্ভ উঠানে নেমে গেছে, কৃষ্ণেন্দু বেরিয়ে এসে তাকে ডেকে বলল, “মোহনকে একবার পাঠিয়ে দিও রম্ভ।” থমকে দাড়িয়ে রম্ভ কাছে সরে এল । “আমার ভাই মোহন ?” ‘হঁ্যা, একটু দরকার আছে।” এ দরকার যে কি দরকার অনুমান করা শক্ত নয়। কয়েকজন মাথাগরম ছেলেকে ক্ষেপিয়ে কৃষ্ণেন্দু দাঙ্গা বাধাবো। রম্ভার ভাই মোহনলালের মাথাটা যথেষ্ট গরম, তাকে দিয়ে ভালভাবেই কাজ চলবে কৃষ্ণেন্দুর। বিবৰ্ণ মুখে ঠায় দাড়িয়ে রম্ভ কৃষ্ণেন্দুর মুখের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। “একাই আসতে বোলো ।” “এক ? ‘হঁ্যা, আগে ওর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে । ওরা দলের কোন ছেলেটা কেমন अमेिं 6ऊ छानि भां ।' SS