পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဓုကျိရ ‘বিশ্বাস করেন আমাকে ?” ‘করি বৈকি, নিশ্চয় করি ? “তবে বলুন । রাস্তাকে বলবেন, আমাকে বলবেন না, সে হবে না। ঠাকুরপো। হিংসায় আমি মরে যাব দম ফোেট।” দিগম্বরী আঁচলে চোখ মুছল । “কি হবে ওসব শুনে ?” ‘ওমা ! এই বুঝি বিশ্বাস করেন আমাকে ? এই বসলাম আমি এখানে, না শুনে উঠছি না ।” হীরেনের সামনে সে জেকে জোড়াসন হয়ে বসে পড়ল।-'নিন বলুন এবার চট করে। বৌঠানের কাছে কথা লুকানো, কেমনধারা ঠাকুরপো আপনি ? হীরেনের যেন ধাধা লেগে যায়। দিগম্বরী আর প্ৰৌঢ়া গিল্পীর মত কথা বলছে না, ছেলে মানুষী করছে আহলাদী কচি খুকীর মত। কথা, সুর, ভঙ্গী সব তার নিখুত । এই দিগম্বরীকে যে আবার গিন্নিবানী মনে করা কখনো সম্ভব হয়েছিল তা যেন এখন আর কল্পনাও করা যায় না । “আপনি তো সবাইকে বলে বেড়াবেন।” ‘না । সত্যি কাউকে বলব না । মা কালীর দিব্যি ।” হীরেন তখন খুব সংক্ষেপে তাকে মোটামুটি ব্যপারটা শুনিয়ে দিল। শোভাযাত্রা করে গিয়ে হেরম্বের দলের সঙ্গে তারা মারামারি করবে। দিগম্বরী চোখ দুটি বড় বড় হয়ে গেল। কিছুক্ষণ ঘাড় কাত করে সে ভাবল । “রম্ভার বাপ বেচারাও তাই করতে গিয়েছিল, ঠাকুরপো ।” “Gf. ” “এটা কি ঠিক হবে ? আবার একজন গুলি খেয়ে মরবে, ধরা পাকড় S乳びーー" হীরেন একটু হাসল।—“এইজন্য আপনাকে কিছু বলতে চাইনি বৌঠান।” এতক্ষণে দিগম্বরীর মুখের হাসি মিলিয়ে গেছে। তার ব্যাকুলতা দেখে হীরেনের মনের একটা শুকনো দিক একটু ভিজে গেল। পরের জন্য মেয়েদের এমন দরদ খুব কম দেখা যায়। তাকে একটু শান্ত করার চেষ্টায় SS