পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iदि @jछ्दब्लौ পরামর্শ শুনবার ইচ্ছা তার নেই। ওদের শান্ত নিবিকার আলাপ শুনলে মনটা তার বিষিয়ে যাবে। শশাঙ্ক চলে গেছে। কিনা কে জানে! আজ তার একটু মদ চাই, অল্প একটু। শশাঙ্ক নেশাখের মানুষ, হয় তো বলতে পারবে কোথায় মদ পাওয়া যায়। এই ঝুমুরিয়া গ্রামে। আজ একটু মদ খেয়ে কাল কলকাতা রওনা হয়ে যাবে । তারপর বেশী করে খাবে মদ । রান্নাঘরের দাওয়ায় বসে দিগম্বরী গা খানিকটা উদলা করে পাখার বাতাস খাচ্ছিল, আনমনে ঠোট কামড়ে প্রাচীর-ঘেষা পোপে গাছের দিকে চেয়ে লণ্ঠনের আলোয় তাকে দেখে হীরেন একটু বিস্মিত হয়ে গেল। দিগম্বরীর দেহটি তো সুন্দর । এতবার দেখেও এটা তার কল্পনাতে আসে নি। মমতার বাপের বাড়ীতে মমতা একদিন বলেছিল, “আমার চেয়ে আমার ঝি ঢের বেশী সুন্দর, শুধু রঙ একটু ময়লা । দেখবে ? সে বিকে হীরেন। কতবার দেখেছিল তার হিসাব হয় না, কিন্তু সে বুভী না যুবতী তাও তার কোনদিন খেয়াল হয় নি। পরদিন একটু কৌশল করে মমতা ঝির নিরাবরণ দেহটি দেখিয়েছিল। সে এক রূপ-ধরা শিল্পীর কল্পনা, অবিশ্বাস্য । অথচ মমতা দেখিয়ে না দিলে সে রূপ তার চোখে পড়ত কি না সন্দেহ। তারপর কাস্তে পেড়ে শাড়ী জড়ান। সেই বির দেহটি তার সুন্দর মনে হয় নি, ভাল করে চেয়ে দেখে গলা থেকে পা পৰ্যন্ত ভাল করে ঢাকা সে বেচারীকে তার মনে হয়েছে একটু অশ্লীল । মমতার মত সাজপোষাকে তাকে কি রূপসী মনে হত ? সাজ না থাকলে ভিন্ন কথা, কিন্তু একটা বিশেষ ফ্যাসনে শাড়ী জামা গায়ে না জড়ালে মেয়েদের রূপ কি তার কাছে চাপা পড়ে। ষায় ? উঠানে ঘাস, পায়ের শব্দ হয় না। হীরেনের আবির্ভাব টের পেয়ে শশব্যাস্তে দিগম্বরী বলল, “আসুন ঠাকুরপো, বসুন। চেয়ার এনে দেব ? ভাঙ্গা চেয়ার কিন্তু । কেউ দেশে আসেন না, আসবাবপত্তর কিনে দেন না । উনি একবার লিখেছিলেন একটা টেবিল আর কাটা চেয়ারের জন্য, জবাব পেলেন, মাদুর আর পাটি হলেই হবে। খুব চটে গেছেন, না ? অতটা মেজাজ দেখানে আমার छेष्ड् िश् त्रि ।।” হীরেন জোর দিয়ে বলল, “বেশ করেছেন । স্বামীর বিপদে স্ত্রীর মাথা গরম হওয়া দোষের নয়। শশাঙ্কদ চলে গেছেন নাকি ?” “আপনাদের বলেই তো গেলেন ?? “এত আগে গেলেন ? গাড়ী তো শুনলাম রাত নটায় ? R O R