পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দর্পণ অসুখ, চিকিৎসা করালে সেরে যাবে, কিন্তু ওসব কৃষ্ণেন্দুর মুখের কথা। মনে মনে কৃষ্ণেন্দু সব বোঝে। কৃষ্ণেন্দুর মত বন্ধু তার নেই। ‘রামপাল ?” 'ਚ ? ‘হেরম্ববাবুর বাড়ী গিয়েছিলাম এ কথাটা গোপন রেখো।' “আজ্ঞে, তা আর বলতে ! ও কথা কি প্ৰকাশ করা যায়।’ বড় দীঘিটার কাছে পৌছে হীরেন। রামপালকে একটা বোতল দিয়ে বিদায় করে দিল । ‘বাড়ী তক পৌছে দি’ না বাবু? 'না, তুমি বাড়ী যাও। এটুকু যেতে পারব।” দিগম্বরী আজ একলা শুয়েছে। হয়ত তার ঘুম আসছে না। শশাঙ্কের কথা ভাবছে। শশাঙ্ককে সে চাকরীটা দেবে। লোকটা অপদার্থ, কোন কাজে লাগবে। না, পচিশ ত্ৰিশ টাকার বেশী ওর মাইনে হওয়া উচিত নয়। তবু দিগম্বরীর জন্য ওকে সে দুশো টাকা মাইনে দিয়ে রাখবে। মমতার সঙ্গে সর্বদা দিগম্বরীর মেলমেশার ব্যবস্থা করা সম্বন্ধে হীরেনের আর উৎসাহ ছিল না । এই উদ্ভট কল্পনাকে কি করে প্রশ্ৰয় দিয়েছিল ভেবে এখন সে বরং আশ্চৰ্য হয়ে যাচ্ছে । মমতা বদলাবে না । এ জগতে এমন কোন শক্তি নেই মমতাকে যা বদলাতে পারে । অন্যকে দেখে কেউ স্বামীভক্তি শিখতে পারে ? শুধু দিগম্বরীর জন্য সে শশাঙ্ককে চাকরীটা দেবে। দিগম্বরী স্বামীকে ভালবাসে বলে, ভক্তি করে বলে—তার অপদার্থ নেশাখের স্বামী তার জীবন-দেবতা বলে । সদর দরজা বন্ধ ছিল। ধাক্কা দিতে দিতে হীরেনের মেজাজ চড়ে গেল, কেউ দরজা খুলল না। তখন সে জুতো পায়ে দরজায় লাথি দিতে আরম্ভ করল। খানিক পরে বোঝা গেল। আলো নিয়ে কেউ উঠান পার হয়ে আসছে। বন্ধ দরজার ওপার থেকে ভীত স্বরে দিগম্বরী শুধোেল, “কে ? 'उधाशि | शैठद्रन् ।' দিগম্বরী দরজা খুলতেই সে ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, “কতক্ষণ ধরে দরজা ঠেলছি, সবাই কি অজ্ঞান হয়ে ছিলেন ?? R Y9