পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনে দিগম্বরী একেবারে কেঁদে ফেলে নালিশ জানােল, “আপনার কাছে কিছু = ।” “আহা, আপনি বোঝেন না কিছু। ওসব মানুষের জীবনে ঘটে যায়। আমাদের দুজনেরি এটুকু স্বাধীনতা, একটু অধিকার আছে। আপনি খারাপ ছিলেন না, খারাপ হয়েও যান নি।” “আমার যে স্বামী আছে ঠাকুরপো ? 'डांशांद्ध७ 6डा शैी उigछ ।' “আপনার কথা আলাদা। আপনি পুরুষ মানুষ।” “আপনিও পুরুষ না হন-মানুষ।” দিগম্বরীও এক কাপ চ খেল। চোখের জল শুকিয়ে গেল চোখেই। উদভ্ৰান্ত ভাব কেটে গিয়ে এল থিম থমে ভাব । কোনরকম অন্যমনস্কতা তার দেখা গোল না। কিন্তু মনে হল একটা কথাই সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উন্টে পাণ্টে ভাবছে। “আজকেই চলে যাবেন তো ?’ “তাই ভাবছি। থেকে আর কি করব ।” দিগম্বরীর চোখে বিলিক খেলে গেল । 'না থেকে আর কি করবেন।” হীরেন সিগারেট ধরাচ্ছিল, প্রক্রিয়াটা সমাপ্ত হলে খুব অন্তরঙ্গ ভাবে নীচু গলায় আপজনকে মনের কথা শোনানোর মত সরলতার সঙ্গে বলল, “কি জানেন, বৌটার জন্য বডড মন কেমন করছে। মনটা কেমন বিগড়ে গিয়েছিল, অনেকদিন বৌটার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করি নি। সেজন্য আরও তাড়াতাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে।” “আপনার বৌ খুব সুন্দরী, না ঠাকুরপো ?” “সে তো দেখতেই পাবেন ।’, ' দিগম্বরী রান্না করতে গেল। সকালের গাড়ী আর ধরা যাবে না, একটার গাড়ী ধরতে হলে খেয়ে দেয়ে এগারোটার মধ্যে হীরেনের রওনা হওয়া দরকার। গরুর গাড়ী ঠিকর ঠিকর করে চলবে। একটার গাড়ীতে গেলেও আজ রাত্রে মমতার সঙ্গে দেখা হবে, তার বাড়ী অথবা বাপের বাড়ী যেখানেই সে থাক। দিনে দেখা হওয়ার চেয়ে একান্তে সমস্ত রাত্রির জন্য দেখা হওয়াই ভাল। তবু দীর্ঘ দিনটা কাটাবার চিন্তায় হীরেন একটু অসহিষ্ণুতা বোধ করে। তার শান্ত সন্তুষ্ট চিত্তে শুধু এই একটি অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। RR det(t)