পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী বাইরে ছিল জীবনলাল। রাস্তাকে ডেকে দিতে বলায় সে ইতস্ততঃ করে বলল, “আপনিই বরং ভেতরে আসুন বাবু। ওর মেজাজটা ভাল নেই। মোরা কথা কইতে গেলে কামড়ে দিতে আসে।” রম্ভাকে দেখাল থমথমে। দাওয়ায় উঠবার সিড়িতে পা রেখে সে বসেছিল, হীরেনকে দেখে নড়ল না, কথাও বলল না । মুখ বাকিয়ে ভুরু পাকিয়ে কোণাচে চোখে চেয়ে রইল একটি কলাগাছের আধনুকানো মোচাটির দিকে। দাওয়ার কোণে খুঁটিতে ঠেস দিয়ে বসে নরেশ নতুন একটি খড় চিবেচ্ছিল। এখানে এসে নতুন খড়ের বিচিত্র স্বাদে তার মন ভুলেছে। যখন তখন খড় মুখে পুরে চিবোতে থাকে । 'अाशि 6ऊा अख्त्रि श्iछि द्रङ्ख्छ ।' लछ जांg। लि ना । “ভারি দুঃখের ব্যাপার হল ।রম্ভ। এমন হবে কে ভাবতে পেরেছিল বল। পুলিশ এমন আচমকা ওদের ধরে নিয়ে যাবে-’ । রম্ভ একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল । হীরেন দরদ বোধ করল অসীম। রাস্তার দুঃখের সত্যই তুলনা নেই। ও যে এমন মুহমান হয়ে পড়বে তা আর আশ্চর্য কি। সান্তুনা দেবারও কিইবা আছে ଏ.ଏନି । ‘মন খারাপ কোরো না রম্ভ। সব অবস্থাতে শক্ত থাকবে এই তো চাই আমরা তোমার কাছে । আমার যা করার আছে তা আমি করব । কেষ্ট আর তোমার ভায়ের জন্য যত টাকা লাগে খরচ করব । তুমি বরং কিছু টাকা রেখে * দাও-দরকার হতে পারে।” এবার রম্ভ ফেটে গেল । “আপনার টাকায় আমি মুতে দি । লজ্জা করে না ? বেহায়া, বজাত কোথাকার। মাতাল, বিশ্বাসঘাতক ৷” হীরেনের দুটি কান দুটি ভাঙ্গা কঁাসির মত ঝন ঝন করে বাজে। মানসিক ভূমিকম্পে হুড়মুড়ে করে ভেঙ্গে পড়তে থাকে। তার আত্মতৃপ্তির বিরাট মহল। মাতাল ! বিশ্বাসঘাতক । রামপাল ।রম্ভার স্বামী । কাল সে রামপালকে সঙ্গী করে মদ খেতে গিয়েছিল হেরন্থের বাড়ী। সে মাতাল, সে বিশ্বাসঘাতক ! কি বিশ্বাসঘাতক রামপাল ! একসঙ্গে তারা মদ খেয়েছে। তবু রামপাল প্ৰকাশ R. R.br