পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांभिक कांदब्ौ হীরেন বুঝতে পারে যে এতদিনে সে বুঝতে পেরেছে মমতা কত উচুতে আর সে কত নীচুতে, মমতার কাছে সে কত হীন, কি স্বৰ্গ ও নরকের পার্থক্য তাদের মধ্যে । অশ্রদ্ধা ছাড়া আর কি তার পাওয়া সম্ভব মমতার কাছে ? হীরেন দুঃখ পায়, তার অনুতাপ হয়। হতাশায় বিষাদে ঝিমিয়ে পড়ে। রাগে অভিমানে ফুসে ওঠে। হিংসায় জলে যায়। তাই যদি হয়, এমন যদি সে অমানুষ, দেবতা রুষ্ণেন্দু কেন এল। তার জীবনে, কেন বন্ধু করল তাকে ? কেন দেবী মমতা তাকে বরণ করল। স্বামীর পদে ? কি দরকার ছিল ওদের এভাবে কষ্ট দেবার, তার জীবনটা নষ্ট করবার ? খারাপ লোক সে, খারাপ হয়েই থাকত। খারাপ লোকের সঙ্গে মিশে, খারাপ কাজ করে, মনের ফুর্তিতে জীবন কাটিয়ে দিত হেসে খেলে। সবাই ষড়যন্ত্র করেছে তাকে অসুখী করতে। বিশ্বসংসার তার বিরুদ্ধে। সে একা, তার কেউ নেই। হয়, কেন সে বেঁচে আছে! বাড়ীর কাছাকাছি সা সা করে সাইকেল এসে তার নাগাল ধরে ব্রেক কষে থেমে যায়। শস্তু টেলিগ্রামের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলে, “আজ যেতে পারলাম না হীরেন। বাবু, মাপ করবেন। জরুরী কাজ পড়েছে।” দিগম্বরীর টেলিগ্রামের সঙ্গে হীরেন নিজেও একটা টেলিগ্রাম পাঠাতে চেয়েছিল। মমতার নামে, সে যাচ্ছে এই খবর দিয়ে। কাগজ দুটি সে ছিড়ে 6व् | শদ্ভূ বলে, “আপনি তো বুঝতেই পারছেন। চাদিকে হৈ চৈ পড়ে গেছে। আমি জানতাম না, এইমাত্র খবর পেলাম। অরাজকতা সত্যি আর সয় না হীরেন বাবু। বিনা পথ্যে, অযত্নে, অচিকিৎসায় সূৰ্যদা মারা গেল। মহীউদ্দীনের বাবা মরল জেলে। মোহনের বাবা খুন হল। তারপর কাল রাতে কেষ্টবাবু আর মোহনকে অ্যারেষ্ট করা হল । ওরা কি খেলা পেয়েছে ? আমরা আর সইব না। আমি মােহনের দলের মেম্বার। মহীউদ্দিন আমাদের সেক্রেটারী। ও আমায় গা ছেড়ে কোথাও যেতে বারণ করেছে।” শত্যু দম নিয়ে যোগ দেয়, “আপনিও থেকে যান না হীরেনবাবু? এ সময় চলে যাবেন ?” “দেখি ভেবে।” v ತಡ দেখবার কিছু ছিল না। কৃষ্ণেন্দু আর মোহনের গ্রেপ্তারে গ্রামে ا * سه با RV) o