পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী পুরুষ হয়ে একটা মেয়েমানুষকে, নিজের বিয়ে করা বৌকে, বশ করার কৌশল যদি না জানে তবে সে কিসের পুরুষ ! অন্যের কাছে মমতার কাছে শুনবার অপেক্ষায় তার থাকবার দরকার ? নিজেই সে মমতার কাছে সব খুলে বলবে । বলবে, মমু, তোমার জন্য আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে মামু। তোমার জন্য আমি মদ ধরেছি, তোমার জন্য দিগম্বরীর মত স্ত্রীলোককে প্রশ্ৰয় দিয়েছি । আমি ডুবে যাচ্ছি মামু, আমায় বাঁচাও। শুনে মমতা নিশ্চয় গলে যাবে। আরিফ মোটে ক’দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ছাড়া পাবার আগে তার সারা গায়ে অনেকগুলি ছোট বড় ফোড় উঠেছিল। কতগুলি বসে গিয়েছে, কতগুলি পেকে ফেটে গিয়েছে, দু’একটা যা আছে সেগুলি বসে যাবে না পাকবে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ফোড়ার জন্য নিজেকে আরিফের সব সময় কেমন নোংরা মনে হয়, দিনে সে তিন চার বার স্নান, করে । মাঝখানে একটু জ্বর হয়েছিল, তখনও বাদ দেয়নি। সকালে সবে সে স্নান করে উঠেছে, মমতা এল। কয়েকটি ফোড়ার ঘা তখনো ভাল করে শুকোয় নি। মমতাই গরম জলে ধুয়ে ঘায়ে আর ফোঁড়ায় शब्ला व्लाgिश्न व्लि । ‘আমি মুসলমান হতে পারি না। আরিফ ? ‘না । মুসলমানী হতে পাের।” “কত শীগগির হতে পারি ?” “যত শীগগির তোমার খুশী।” “তাহলে চাটুপটু আমাকে মুসলমান করে নাও। তারপর চলে আমরা একবার ঝুমুরিয়া যাই।” জেলে আরিফ গোফ রেখেছিল সখা করে। গোফের জন্য তার মুখের চেহারা আশ্চৰ্যরকম বদলে গেছে। যাবার সময় আঙ্গুল বুলিয়ে তার গোফটা পরীক্ষা করে। মমতা বলে, “কাল গোফটা কামিয়ে ফেলো ।” কৃষ্ণেন্দু আর মোহনলালের গ্রেপ্তারের খবর মুখে মুখে ছড়িয়ে গিয়ে চারিদিক সরগরম হয়ে উঠল। সকলের মধ্যেই কম বেশী তীব্ৰ প্ৰতিবাদ গুমরে উঠল, R \R