পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী সে দিনকাল তো আর নেই। স্কুলের আট বছরের ছেলে পর্যন্ত আজি দল বেঁধে স্কুল বন্ধ করার কায়দা জানে। “যাক বাবা, আজ তাহলে ছুটি।” রামপদ বলেন। “তারিকবাবু না খালি স্কুলে আটকে রাখেন চারটে পর্যন্ত।’ বলেন অবিনাশ । “তারিকবাবু স্কুলে ঢুকতে পারেন কি দ্যাখো আগে।” নিখিল বলেন। সুদেব কম্পাউণ্ডার ডাক্তার, হাতিযশ মন্দ নয়। কোন গোলমালে সে কখনো যায় না, কিন্তু নিজের ঘরে আর রোগীর বাড়ীতে সে খানিকটা স্বাধীনচেতা আর স্পষ্টবাদী। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কাউকে খাতির করে কথা কয় না । “তোমরা দেখছি ছুটি পেয়েই খুশী । ছুটিটাই তোমাদের বড় হল, আঁ্যা ? “নিশ্চয়! হেরম্ব ব্যাটা অপঘাতে মরলে ওর অনারে কবে ছুটি পাব দিন গুনছি।” “তোমরাই তো সায় দিয়েছিলে স্কুলে ধর্মঘট করার জন্যে ভূদেবকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিতে।” ‘সায় দিই নি। চুপ করে ছিলাম। মনে মনে বলছিলাম, ওরে শাল। তারকবাবু, কবে তোর শ্রাদ্ধের নেমন্তন্ন খাব।” : ‘সভা করবে বলছে। সভা করে কি হবে ? স্কুলের কেরাণী বলাইচরণ বলে, তার শীর্ণ মুখখানি হতাশায় বঁকা করে। ‘সভাতেই কাজ হয়। সবাই একত্র হয়। আজ কি ভাবিছ সেরকম সভা হবে, শুধু দুটাে বক্তৃতা আর হাততালি? তৈরী হয়ে আসবে সবাই। ছোড়াগুলো কেমন পাগলের মত ছুটাছুটি করছে দেখছি না ? সবাইকে ক্ষেপিয়ে তুলছে, তৈরী করছে।” ‘তৈরী সবাই হয়েই আছে।” 弹 এদের বুদ্ধিমানের মত প্ৰাণহীন কথায় আজ প্ৰাণের স্বাদ এসেছে। চোখের চাউনি একটু উজ্জল, চােখের পাতা একটু চঞ্চল। থেমে থাকার বদলে বুকটা আজি টিক টিক্‌ করছে। সুদেবের রোগী আসে, নতুন খবর দেয়, ওষুধ নিয়ে চলে যায়। গায়ের ক্ৰমবৰ্দ্ধমান উত্তাপ যেন এই শীতল আসরকে আরেকটু গরম করে দেয়। यूg শ্ৰীধর প্রায় সিধে হয়ে আশ্চর্য রকম দ্রুতপদে চলছিল। পা টেনে টেনে, কাছে এসে শ্বাস টেনে টেনে বলে, ‘বীরেশ্বরের মেয়েটা বেরিয়েছে। এলো চুল, DD DBSDD DBD DDD TBBzSS LBBBD DBBD DDSS BB যেন উঁচু ঠেকল!” S NOУ.