পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী বিদেশী, এ গায়ের সে জামাই, পথে পথে সে হল্লা করবে। মাতালের মত, হাঙ্গামা বাধাবে, পুলিশের হাতে পড়বে। রম্ভ। ধিক্কার দিয়ে বলে, “ষাও তুমি, কলকাতা ফিরে যাও। কাঠ চেরোগে আর তাবেদারি করগে হীরেনবাবুর।” বলে শঙ্কুর সঙ্গে রাস্তা গট গট.করে চলে যায়। জীবনলাল ধীরে ধীরে এসে কাছে দাড়ায় । ‘তুমি যেন কেমন ধারা লোক বাবু। কি বলে যেতে দিলে ওকে ?’ । ‘ওকি আমার কথা শোনে যে আটকাব ? জীবনলাল আপশোষ করে বলে, “পুরুষ মানুষ, বৌকে শাসন করতে পার না ? চুলে ধরে মারতে পার না দু’গালে তিন চড় ? মোদের ডুবিয়ে ছাড়বে এবার। এই কাণ্ড চলছে চাদিকে, রাস্তায় উনি হৈচৈ করতে গেলেন।” রামপাল জানতে চায় ব্যাপার কি। এ পর্যন্ত সে ঘর থেকে বার হয়নি, রম্ভার কাছে শুধু শুনেছিল কৃষ্ণেন্দু ও মোহনলালের গ্রেপ্তারের কথা। গায়ের উদ্যত উপদ্রব অশান্তির লক্ষণগুলির বিবরণ জীবনলাল তাকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে । তাদের বাড়ীর কাছে রাঘব মহান্তি গোড়ায় দোকান বন্ধ করতে না চাওয়ায় বাপ নামিয়ে তাকে সুদ্ধ বাইরে থেকে দোকান বন্ধ করার কাজে উপস্থিত খদেরদের, চিরদিনের শান্ত প্ৰকৃতি বয়স্ক লোকদের পর্যন্ত, ছেলে ক’জনের সঙ্গে যোগ দিতে দেখে জীবনলাল রীতিমত ভড়কে গিয়েছে। “এর মধ্যে ওকে তুমি যেতে দিলে, ছেলাপিলা হবে মেয়েটার ? এতটুকু কাণ্ডজ্ঞান তোমার নেই ?” জীবনলাল ঝাঝের সঙ্গে মন্তব্য করে। রামপাল ভড়কে গিয়ে বলে, ‘বটে নাকি ! অ্যা ? দশবারজনের ছোট একটি দল রম্ভাকে সামনে নিয়ে বার হয়, ঝুমুরিয়া ঘুরে পাচনিখের দিকে যাবে। মহীউদ্দীনও সঙ্গে থাকে। সকলের সঙ্গে গল মিশিয়ে রস্তা চোঁচায়। “অত চারীরা ধ্বংস হোক ৷” “হেরম্বের নিপাত যাক ৷” “চাষী মজুরের জয় হোক ৷” সভার কথাও ঘোষণা করা হয়। রম্ভার গলা সবচেয়ে বেশী খোলে “হেরম্বর নিপাত যাক’ বলে চোঁচাতে। রুক্ষ চুল তার এলোমেলে৷ হয়ে আছে, রোদের ঝাঝে মুখ হয়েছে। ঝামা রঙ, কপালে সি দুরের টিপ ঘামে গলে হয়েছে সিঁদুরের ফোটা, ডান হাতে সে মুঠো করে ধরে আছে অ্যাচলের প্রান্ত । "গ্রামের লোক সভয় বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে, রক্তে অনুভব করে इर्छi९ R8 e