পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা ‘কোথায় গেছে ?” ‘বাপের বাড়ী গেছে, আবার কোথায় ।” “কাবৈ গেল ? ‘তা পাচ ছ’মাস হ’ল বৈকি।” “পাচি ছ'মাস ?” বিস্ময়ের ভাব ফুটিতে ফুটিতে উত্তেজিত আনন্দের হাসিতে মোহনের মুখ ভরিয়া গেল, দু'হাতে সে চিন্ময়ের ডান হাতটি চাপিয়া ধরিল।—“খোকা, না। ইঙ্গিতটা বুঝিতে একটু সময় লাগিল চিন্ময়ের, তারপর তার মুখেও মৃদু একটু কৌতুকের হাসি ফুটিয়া উঠিল-নিস্তেজ ও অস্থায়ী হাসি। “ও, তাই বলে ! স্ত্রীরা খোকা বা থুকি প্রসব করতে বেশীদিনের জন্য বাপের বাড়ী যায় আমার এটা মনে ছিল না। তুমি বুঝি সন্ধ্যাকে ওরকম সাধারণ স্ত্রী বলে ধরে রেখেছ ?” মোহন চুপ করিয়া রহিল। “খোকাথুকির ব্যাপারেই ও বাপের বাড়ী গেছে বটে, তবে ঠিক উল্টো কারণে ! আমি খোকা খুকি। চেয়ে পাগল হয়ে উঠেছিলাম বলে আমাকে ঠেকাবার জন্য। এখন কিছুদিন ওসব হাঙ্গামা চায় না। বছর দুই পরে ফিরে আসবে বলেছে, তারপর যদি দরকার হয়, তোমার ওই কারণে গেলেও যেতে পারে বাপের বাড়ী।। তার এখনো অনেক দেরী ভাই, অনেক দেরী ।” মোহন ভড়কাইয়া গিয়াছিল, কতকটা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করিল, “ঝগড়া হয়েছে নাকি তোমাদের ?” চিন্ময় ঝাঁঝালো ব্যঙ্গের সুরে বলিল, “বাগড়া ? আমরা কি তোমরা যে কোমর বেঁধে ঝগড়া করব। আর দশ মিনিট পরে মুখের দিকে চেয়ে দু’জনেই হেসে ফেলব? আমাদের মতের অমিল হয়েছে। ওসব তুমি বুঝবে না ভাই, ওসব নিয়ে भांश घांशि७ न।' ব্যাপারটা মোহন বুঝিতে পারে ভাল ভাবেই। সন্ধ্যার প্রসঙ্গে চিন্ময়ের রাগ আর জালার বহর দেখিয়া সে আর কিছু বলে না । “চারটে থেকে পাচটা পৰ্য্যন্ত হোটেলে থেকে ৷” RNVAG)