পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী মোহনকে বিদায় না দিয়াই সে ভিতরে চলিয়া গেল । বাড়ীর সামনে সংক্ষিপ্ত দৃষ্টান্তের মত বাগান, লতার চাঁদোয়ার নীচে কোলাপनेिदक्ल 6क्रb 1 চিন্ময়ের বাবা কেদারনাথ স্মার্ট আপিসি বেশে গাড়ীতে উঠিতেছিল। গতিস্বপ্নের স্থির প্রতিমৃত্তির মত গাড়ীটির পালিশে সুৰ্য্যের আলো পিছলাইয়া পড়িতেছে মনে হয। কেদারনাথের কঁচা পাকা চুল একটু পাতলা হইয়া আসিয়াছে, টান করা মুখের চামড়া হয়তো একটু শিথিল হইয়াছে, নিম্প্রভ হয় নাই। গাড়ীতে উঠিয়া বসিবার পর সে মোহনের সঙ্গে কথা বলিল । মোহন গাড়ী ঘোষিয়া আসিয়া দাড়াইয়াছে, কথা না বলিয়া উপায় ছিল না । “মোহন নাকি ?’ অনেকদিন পরে তোমায় দেখলাম।” 'ऊाल अहिछ्न्म ?' ‘আছি। এক রকম। কি করছি এখন ?” ছেলের স্কুল-কলেজ জীবনের অনেক অপরিচিত ছেলে অনুগ্রহপ্রার্থী হইয়া দেখা করিতে আসে, চাকরী চায়। অনেকক্ষণ সাধারণ আলাপের ভূমিকায় সময় নষ্ট করে, প্ৰত্যেকে আগেই প্ৰমাণ করিয়া। রাখিতে চায় যে অন্ততঃ তার জন্য কেদারের কিছু করা উচিত । মোহনের বাড়ীর অবস্থা কেদারের মনে ছিল না, তাই প্ৰথমেই সে জানিতে চা হল, সে বেকার কিনা অথবা কিছু করিতেছে। সময় অযথা নষ্ট হইবে না, মোহনের সঙ্গে কি রকম ব্যবহার করা চলিতে পারে তাও বুঝা যাইবে। মোহন ধীরে ধীরে বলিল, “দেশেই আছি। এখনও পৰ্য্যন্ত । বাবা মারা গেছেন শুনেছেন বোধ হয় ?” সহানুভূতি জানাইতে কেদার বলিল, 'মারা গেছেন? তাই তো, বড়ই দুঃখের কথা হল ।” প্ৰসঙ্গ পরিবতন করিতে বলিল, “চিন্ময়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে ? চিন্ময় বাড়ীতেই আছে।” সঙ্গ ত্যাগ করার ভূমিকা হিসাবে বলিল, “কটা বাজল ? দশটা তেত্রিশ! দেরী হয়ে গের্ল একটু —যাও ।” S ግ e