পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fiဂျီချုံ၊ ' দিকে চেয়ে সে গুম খেয়ে বসে থাকে। দিগম্বরী মেঝে সাফ করা সুরু করলে তাকে দেখতে দেখতে শশাঙ্কের মনে হয়, বৌটা তো তার মন্দ নয় দেখতে ! খাসা গড়ন, কোমল রঙ, মোলায়েম মুখ। রূপসী তো এমন কিছু কম নয় দিগম্বরী ! আর ভাল যে কত তার তুলনা হয় না । সাত বছর তাকে নিয়ে তন্ময় হয়ে আছে-দেবতার মত পূজা করে। তার অকল্যাণ হবে বলে তাকে অন্যায় পৰ্য্যন্ত করতে দেয় না। সাত বছর ধরে দিগম্বরী-ঐখন যাকে আশ্চৰ্য্যরকম সুন্দরা দেখাচ্ছে-দৈনন্দিন অসংখ্য পুজার কথা ভাবতে ভাবতে গর্বে শশাঙ্কের বুক ফুলে ওঠে। কে বলে সে মানুষ নয় মানুষের মত, পুরুষ নয় পুরুষের মত ? কলসীর জলে মেঝে ধুয়ে ঘরের নালা দিয়ে দিগম্বরী জল বার করে দেয়, ন্যাত দিয়ে মেঝে মুছে ফেলে, দরজা খোলে না। শশাঙ্ক তাকে দেখছে, শশাঙ্ক চিন্তামগ্ন হয়েছে, এ সব সে না তাকিয়েই টের পায়। সে শশাঙ্কের কথার প্ৰতীক্ষা করে থাকে। সে জানে শশাঙ্কই প্ৰথমে কথা বলবে । ‘লেগেছে নাকি ?” সজল চোখে হাসি মুখে মৃদু উদাসীনতা অভিমান ও অভিযোগ মেশানো সুরে দিগম্বরী জবাব দেয়, “না।” ‘সহরে এসে বিলিতী খাবার সখ হল একটু।” ‘দিশি বিলিতী কিছুই ওসব তোমার সয় না। যা খাও না, যা সয় না, কেন খেয়ে কষ্ট পাও ? এই স্নেহের অনুযোগের জবাব শশাঙ্ক দিতে না পারায় দিগম্বরী সুর পালটে বললে, “ভাত খাবে না এখন ?” শশাঙ্ক খায়। খেতে খেতেই বঁ হাতে একবার দিগম্বরীর গাল টিপে দেয়। কৃতাৰ্থ হাসিতে উচ্ছসিত হয়ে দিগম্বরী বলে, “ধেৎ !” খাওয়া দাওয়া চুকবার পর শোয়া। দিগম্বরীকে বুকে টেনে নিয়ে শশাঙ্ক बाल, ‘जूभि बg डांज ७ि ।' রোমাঙ্কিত দিগম্বরী গদগদ ভাষায় বলে, “কাল কালীঘাটে পুজো দিয়ে আসিব তোমার জন্যে। তোমার সময়টা যাতে ভাল হয়।’ বলতে বলতে অসহ্য আবেগে দিগম্বরী যেন ক্ষেপে যায়, হু হু করে কেঁদে বলে, “তোমার জন্যে আমি মরতে পারি, “জানো ? জানো তোমার জন্যে আমি লাখোবার মরতেপারি?” TI