পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা চিন্ময় ইউরোপ আমেরিকা ঘুরিয়া আঁসিয়াছে'- কাজের জন্য আপিসের পয়সায় তাকে যখন তখন বোম্বে মাদ্রাজ ছুটিতে হয়। সকালে ট্রেনে উঠিয়া সন্ধ্যার সময় নাম হয়তো তার কাছে কতকটা ট্রামে বাসে ওঠা নামার মত । তবু রাগ হয়, তবু মনে হয় তার আসা উচিত ছিল। বাড়ী পৌছিতে রাত প্ৰায় ন’টা বাজিয়া গেল । আধঘণ্টা পরে আসিল ग्रिप्शन डांझे भूग्रन। চিন্ময় কাল হঠাৎ পাটনা চলিয়া গিয়াছে, তাদের দেখা-শোনা করার ভার সে দিয়া গিয়াছে মৃন্ময়কে। কখন তারা পৌছিবে চিন্ময় কিছু বলিয়া যায় নাই, তারও জিজ্ঞাসা করিয়া রাখিতে খেয়াল ছিল না, বিকাল হইতে এবাড়ী ওবাড়ী করিতে করিতে বেচারা একেবারে হয়রাণ হইয়া গিয়াছে। “আমি গিয়ে আপনাদের খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি।” নগেনের সমবয়সী ছেলে, ছিপছিপে রোগা চেহারা, খুব লাজুক। চোখ তুলিয়া কারও চোখের দিকে চাহিতে পারে না । সে যেন লাজুক মেয়ে, মোহন যেন তার নূতন বর, লজ্জা ভয়ে একেবারে কাবু হইয়া পড়িয়াছে। অনেকদিন মোহন তাকে দেখে নাই, একরকম ভুলিয়াই গিয়াছিল। কিছুদিন আগে কলিকাতা আসিয়া সে দু’ব্রাত্রি ওদের বাড়ী খাইয়াছে, মৃন্ময় হয়তো বাড়ীতেই ছিল। কিন্তু সামনে না আসিয়া আড়ালে লুকাইয়া ছিল । ছেলেটার পক্ষে তাও অসম্ভব মনে হয় না ! মোহন মমতার সঙ্গে বলিল “টাইম টেবল দেখলেই জানতে পারতে কখন পৌছব।” 'টাইম টেবিল ? ভুলে গেছি।” “একটা চাকরকে এ বাড়ীতে বসিয়ে রাখলেও পারতে। বার বার তোমাকে খোজ নিতে আসতে হত না ।” ‘চাকর ? খেয়াল হয়নি তো !” মৃন্ময় লজ্জার সঙ্গে অপরাধীর মত একটু হাসিল—“আমি যাই, খাবারটা পাঠিয়ে দিই। আর যদি কোন দরকার থাকে-? পলাইতে পারিলে সে যেন বঁাচে ! স্নেহ করার অধিকার যাদের আছে তাদের সঙ্গ তাকে পীড়ন করে। গ্রেহের সুরে কেউ কথা বলিলে তার ভিতরটা কেমন অস্থির অস্থির Rbre - δ.δ (α)