পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী চেষ্টা করিতে গিয়া ধরা পড়িয়া যায় কেবল সে। অদৃষ্ট কি যেন একটা প্যাচ আছে তার। দেবতাদের রাগ আছে তার উপর। সব কিছুই তার ভাগ্যে মন্দ দাড়াইয়া যায়। “যে আমায় ধরল, সে লোকটা মন্দ নয়। বললে, অন্য সময় হলে ছেড়ে দিত । হঠাৎ কদিন থেকে খুব কড়াকড়ি চলছে। মাঝে মাঝে নাকি দু’চারদিন এমনি ব্যবস্থা চলে, তারপর আবার টিল পড়ে য়ায়। তা, কপাল যদি আমার মন্দ না হবে বাবা, আমি যখন আসব ঠিক সেই সময়টা ওদের জবরদস্তির সময় হয় হাঙ্গামা করিতে হওয়ায় মোহন বিরক্ত হইয়াছিল, এবার রাগ করিয়া বলে, ‘ভাড়া দিয়ে এলাম, বিনা টিকিটে আসবার আপনার কি দরকার ছিল ? যখন ‘ধরল, তাড়াতাড়ি টিকিট কাটতে পারেননি বলে ডবল ভাড়া দিয়ে দিলেন না কেন ?” পীতাম্বর লজ্জিতভাবে বলে, “ভাড়া কই বাবা ? সাত গণ্ডা পয়সা সম্বল করে বাড়ী থেকে বেরিয়েছি।” মোহন চুপ করিয়া থাকে। “মেয়েটাকে আনালাম। এক বছর আনাতে পারিনি। প্রথম পোয়াতি মেয়ে শুকিয়ে কাঠি হয়ে গেছে, গিন্নি কেঁদে কেটে অস্থির। গাড়ী ভাড়ার টাকাটাও রেখে এলাম, এটা ওটা খাওয়াতে পারবে মেয়েকে । নইলে বঁাচবে भी 6भक्षी ।' মোহন ভাবে, গরীবের কি আর অজুহাতের অভাব হয়। টাকাটা যে তাকে দেওয়া হইয়াছিল। গাড়ী ভাড়া বাবদ, অন্যভাবে ও টাকা যে খরচ করা চলে না, এ যুক্তি পীতাম্বর বুঝিবে না। শ্ৰীপতিকে জ্যোতির ঘরে থাকিতে দেওয়া হইয়াছে, পাশের ছোট ঘরটি দরকার হইয়াছে মার। পীতাম্বরকে কোথায় থাকিতে দেওয়া যায় মোহন মনে মনে তাই ভাবিতেছিল। গ্যারেজের সঙ্গে ছোট একটি বাড়তি ঘর ছিল, খুজিয়া পাতিয়া পীতাম্বর নিজেই সেখানে থাকিবে স্থির করিয়া ফেলিল। ঘর না বলিয়া খোপা" বলাই ভাল, মাঝখানে শুইয়া দু’হাত বাড়াইয়া দু’দিকের দেয়াল ছোয়া बाँध } - বাড়ির ভিতরে থাকিবার কথা বলিতে গিয়া মোহন চুপ করিয়া গেল। পীতাম্বরের সাটিনের গলাবন্ধ ময়লা কোট, পায়ে ক্যাম্বিসের জুতা, সঙ্গে একটা RSV)