পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা ভাবিয়াছিল। রেসে আধা ঘণ্টা পরে পরে বাজী, কয়েক মুহূৰ্ত্তের জন্য মুখ বিবৰ্ণ হওয়ার বেশী আপসোসের সময় থাকে না, জীবনে বড় রকম পরাজয় ঘটিলে মানুষ কিছু দিন আপসোস করার সময় পায়। এক সময় রেস শেষ হইয়া গেল সেদিনকার মত । প্ৰায় সাড়ে সাতশ’ টাকা জিতিয়া সন্ধ্যা গৰ্বে আনন্দে উচ্ছসিত হইয়। উঠিয়াছিল। রেসে বাজী জেতার এ উচ্ছাসের সঙ্গে হয়তো ভাবপ্রবণতার সম্পর্ক নাই। ভাবপ্রবণতা শুধু হৃদয়ের কারবারে থাকে! গাড়ীতে উঠিয়া বসিয়া শ্ৰান্ত মোহন জলে ভেজা কাদামাখা মানুষের স্রোতের দিকে চাহিয়া থাকে, পাশে বসিয়া সন্ধ্যা অজস্ৰ কথা বলিয়া যায় ! কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু পরিষ্কার করা হইয়াছে। তবু কাদামাখ। মানুষগুলির চেয়ে নিজের গাড়ীর জন্য মোহনের বেশী মমতা श्श्लेहङछेिल । “বাড়ী ফিরবে তো ?’ “এখন ? বেশ চলে ।” “আমি আর যাব না, বাড়ীতে কাজ আছে।” সন্ধ্যা জিদ করে, মোহন কিন্তু রাজী হয় না । চিন্ময়ের কথা তার মনে পড়িতেছিল। সারাদিন সন্ধ্যার সঙ্গে কাটিয়াছে, এখন আবার তার সঙ্গে ব্যারাকপুরে ফিরিয়া গিয়া রাত না হোক সন্ধ্যাটা কাটানো উচিত হইবে না। শেষে সন্ধ্যা প্ৰায় কাতরভাবে বলে, “তুমি না গেলে বাড়ী ফিরে এক এক কি করব ? সময় কাটবে কি করে ? অন্তত কোন একটা সিনেমায় যাই চলো, তারপর বাড়ী ফিরো ? এমন করুণ শোনায় সন্ধ্যার আবেদন, এমন কাতর মনে হয় তাকে সময়ের পীড়নে! সময় না। কাটার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকিলে তো এভাবে সময়কে কেউ ভয় করিতে পারে না ? এক এক সময় তবে কি কাটে না সন্ধ্যার ! “আমার ওখানে যাবে ?” 'ऊछ थोक ।' যাওয়ার অনেক বাড়ী আছে সন্ধ্যার, বন্ধুর তার অভাব নাই। দু'তিনটা NSS