পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f মানিক গ্রন্থাবলী ঘুমে লাবণ্যের চোখ মেলিয়া রাখিতে কষ্ট হইতেছিল। কোন রকমে সন্ধ্যাকে তার ঘরটা দেখাইয়া দিয়া সে শুধু বলিল, “দরকার হলেই আমাদের ডাকবেন। আমরা পাশের ঘরেই আছি।” তারপর কোন রকমে শাশুড়ী শুইয়াছেন।কিনা খবরটা নিয়াই নিজের ঘরে গিয়া বিছানায় গা এলাইয়া সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাইয়া পড়িল । ঘরে ঘরে আলো নিভিয়া তারপর একসময় সারা বাড়ীটা হইয়া গোল নীরব ও অন্ধকার, আলো শুধু দেখা গেল উপরে মোহনের নিজস্ব বসিবার घ८६७ নীচে গ্যারেজে শ্ৰীপতির ঘরে । একজনের গৃহে এবং আরেকজনের বাহিরে সঞ্চয় করা শ্রান্তিতে ঘুম টুটিয়া शिigछ । শ্ৰীপতির ঘুম আসিতে আরও আধঘণ্টা সময় লাগিল। মোহনের তখনও ঘুম उन्निब्ल ब ।। তার শুধু শ্ৰান্তি নয়। তার বাড়ীতে তার আয়ত্তের মধ্যে আসিয়া যাচিয়া সন্ধ্য এই সুযোগ সৃষ্টি করিয়াছে, কয়েক পা হঁটিয়া ভেজানো দরজাটি ঠেলিয়া তার কাছে যাওয়ার সুযোগ ! একথা ভাবিতে মোহনের বুক টিপ, টিপ করিতেছে, এও যে জগতে সম্ভব হয় বিশ্বাস করিতে নিজের অতীত ভবিষ্যৎ জীবনটা হইয়া যাইতেছে বিস্বাদ । না, ও ঘরে যাওয়ার ক্ষমতা তার নাই । এই অক্ষমতাকে স্বীকার না করিলে আজ এত রাত্রের বর্তমান জীবনের কোন অর্থ হয় না । ফাকা ঘরে একা শুইয়া সন্ধ্যার ঘুম আসিয়াছে কিনা কে জানে। সন্ধ্যা যে বলিয়াছিল তার কিছুই ভাল লাগিতেছে না সেটা কিন্তু ছলনা নয়। কথার পর্ব শেষ করিয়া সন্ধ্যাকে বিছানায় আশ্রয় নিতে দেওয়ার প্রয়োজনটা খেয়াল হওয়া মাত্র মোহন সেটা টের পাইয়াছিল। বেশী খাওয়ার জন্যই হোক। আর অন্য যে কারণেই হােক, সন্ধ্যার খুবই খারাপ লাগিতেছিল—দেহ এবং মন। কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত স্মার্ট থাকিতেই হইবে সন্ধ্যাকে -কথায় হারিয়া যাওয়া তার স্বভাব নয়। জগদানন্দের সঙ্গে তর্কে সে হার মানে নাই, এমনভাবে হঠাৎ হাসিয়া ফেলিয়া VR