পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘষামাজ যুক্তিপুর্ণ হৃদয়গ্ৰাহী বক্তৃতা দিতে পারে। গর্বের তার সীমা থাকে নি। সমসাময়িক মানব সভ্যতার পটভূমিকায় ভারতের সমস্যাগুলির এমন নিখুত বিশ্লেষণ সে খুব কম শুনেছে। আরিফের বক্তৃতা হাততালির তারিফ পেল না। সভা যেন চাবুক খেয়ে সম্বিত পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলা-সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় প্রবন্ধের ভাব রাজ্য থেকে মাটির পৃথিবীতে নেমে এল। পুলিশ রিপোর্টাররা এতক্ষণ অনেকটা গা-ছাড়া ভাবে টুকছিল, তারাও চমকে উঠে জোরে পেন্সিল চেপে ধরল। প্ৰথমে মমতার মনে হয়েছিল আরিফ বড় তীব্র বড় ঝাঁঝালো কথা বলছে । মাথা গরম হয়ে উঠছে আরিফের। তারপর সে বুঝতে পারল, আরিফ উত্তেজিত হয়নি, মাজ্জিত সুগ্ৰাব্য সাজানো গোছানো ভাষার বদলে সোজা স্পষ্ট কাটা কাটা বলছে বলেই এত রূঢ়। আর তীব্র শোনাাচ্ছে তার কথা । সেই থেকে সভার সুরা যেন বদলে গেল। পরে যারা বললেন বক্তৃতা অনেকটা মাটির পৃথিবী ঘোষে ঘেষেই চলতে লাগল। সভার শেষে মমতা দু’হাতে আরিফের হাত চেপে ধরল। “আরিফ, আর দু’একবার এ রকম বক্তৃতা শোনালে আমি তোমায় छठgदgन (यजद ।? বলতে বলতে সে তাকিয়ে দেখল, হীরেনের মুখখানা ঈর্ষায় একটু লম্বা इ20ध (*क्ल । কাজেই খানিক পরে মমতা তাকে বলল, “তুমিও সুন্দর বলেছি।” কৃষ্ণেন্দু কাছে ছিল। সে একটু হাসল। মমতা তাকে বলল, “তুমি কিছুই বলতে পার না কেষ্টদা। ঠিক যেন অফিসিয়াল রিপোর্ট পড়ছ মনে হয়, একটানা একঘেয়ে। এরা সব নতুন, তুমি পাকা লোক হয়েও এদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পার না । লোকে তোমার কথা শোনে কেন তাই ভাবি ।” ‘লোকের কথা বাদ দাও। তুমি শোন কেন ?” 'Cडiभiझ भ6= वTथों क१igद बgव्न ।।” কথা বলতে বলতে দুজনে কয়েক হাত তফাতে সরে গিয়েছিল। কৃষ্ণেন্দু মমতার বাহুতে আঙ্গুল দিয়ে আঘাত করে বলল, “মানুষের মনে কষ্ট দিতে বড় কষ্ট হয়, না ? হীরেন। দিন দিন রোগ হয়ে যাচ্ছে দেখতে পাও না ? VG