পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা gY LLL0 SDBBBBBBD YBDD DDDS S DJ B KYJ0 DY লাগে অচেতন মন । শ্ৰীপতির মনের বিষাদ কিন্তু কমিয়া গিয়াছে। একবার সে দেশের গ্রাম ঘুরিয়া আসিয়াছে। দু’দিনের বেশী কদম তাকে তিন দিন থাকিতে দেয় নাই, তাড়া দিয়া ফেরত পাঠাইয়া দিয়াছে কলিকাতায় ! ক’মাস দুটি পয়সা রোজগার করিয়াই রোজগারের সাধ মিটিয়া গেল নাকি শ্ৰীপতির ? অার ভাল লাগে না ? বৌ আর ছেলেমেয়ের পেটে দুটি অন্ন যাইতেছে, অমনি বুঝি শনি ভর করিল র্কাধে ? না, আরামে আলস্যে ঘরে বসিয়া দিন কাটানো চলিবে না। শ্ৰীপতির, ঢ়িল দিলে চলিবে না। পয়সা রোজ গারের যে সুযোগ পাওয়া গিয়াছে পুরোমাত্রায় তার সদব্যবহার কাবতে হইবে। কদম নিজেও তো মরিয়া যাইতেছে না, ফুরাইয়া যাইতেছে না ! শ্ৰীপতির হইয়াই সে দেশের ঘরে কষ্ট করিয়া দিন কাটাইবে-সুখের দিনের জন্য । জোরের সঙ্গে তেজের সঙ্গে কদম এই একটা বিষয়ে বার বার তাকে আশ্বাস দিয়াছে - শ্ৰীপতির কোন ভয় নাই, কদম তারই আছে এবং চিরদিন তারই থাকিবে। কোন পুরুষের সাধ্য নাই কোন প্রলোভনে তাকে ভুলায়। স্বামী বিদেশে পয়সা কামাইতে গেলে তার মান কি করিয়া বজায় রাখিতে হয় কদম ত৷ ভাল করিয়াই জানে। বলিয়াছে, ‘টের পাই না ভেবেছ নাকি ? তুমি খালি ডরাচ্ছ—একলা পেয়ে কদমকে কে বিগড়ে দেবে। কদমকে চেনো না তুমি ? এতকাল এত কষ্ট সয়ে এলাম না ? আজি কদমের জন্য তুমি গেছ পয়সা কামাতে, কদম বিগড়ে যাবে! কেন, কদম মরতে জানে না বুঝি ?” গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিয়াছে, “আমি বিশ্বাস করি না তোমাকে ? সহরে কত ডাইনী থাকে জানি না বুঝি ? কদম বিদায় করিয়া দিলেও শ্ৰীপতির মনে কিন্তু দুঃখ হয় নাই । দুদিন কদম তাকে খুব যত্ন করিয়াছে, চুলে তেল দিয়া খোপা পৰ্যন্ত বাধিয়াছে তার জন্য। শ্ৰীপতি সব চেয়ে আরাম বোধ করিয়াছে কদমের জন্য তার ভয় আর সন্দেহ কাটিয়া যাওয়ায় । V8S