পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা ক্রিয়াটা হচ্ছে অন্যরকম। তা এমন মন্ত্র তো থাকতে পারে কানে এসে লাগলেও শব্দটা ধরা যায় না, মনে কাজ হয় ?” مفي “ওসব অনেক শুনেছি জগৎবাবু। এসব বিশ্বাস অবিশ্বাসের তর্ক কখনো শেষ হয় না, তর্কই থেকে যায়। আমার একটা কথার জবাব দিন তো । আমি বিশ্বাস করি না, তর্কের খাতিরে না হয় ধরে নিলাম, সমস্তই সম্ভব। কিন্তু যার তার পক্ষে কি সম্ভব ? গানের কথা বললেন, গান শিখতেই মানুষকে কতকাল সাধনা করতে হয় । ওসব মন্ত্রতন্ত্র শেখা নিশ্চয় আরও কঠিন ? কিন্তু আপনি দেখবেন, যারা ওসব জানে বলে লোকে বিশ্বাস করে তারা অধিকাংশই অপদাৰ্থ, 이 1’ अशाबिन शांशों मigg । “আপনার ষ্ট্যাণ্ডার্ডে হয় তো তাই, আসলে হয়তো তারা উচুস্তরের মানুষ। স্তরটি ভিন্ন বলেই ওদের হয় তো হামবাগ মনে করি। আপনার লজিকটা এক পেশে, সব দিক বিবেচনা করছেন না। আপনি ভাবছেন অপদাৰ্থ কিন্তু তুকতাক খাটাবার বিশেষ ক্ষমতার জন্য হয় তো "ওই রকম হতে হয়। আপনার আমার মত মানুষ হলে ওই বিশেষ প্ৰতিভা থাকে না। ফুটপাতে ফোটা তিলক কাটা জ্যোতিষী দেখলেই আপনার গা জ্বালা করে, আমার করে না। আপনি ভাবেন ওরা ভণ্ড, লোক ঠকিয়ে খাচ্ছে, আমি তাও ভাবি না। আপনার মাপকাঠিতে বিচার করলে হয়তো সত্যসত্যই এক নম্বরের ভণ্ড, তাতে কোনই সন্দেহ নেই, আমি ওই মাপকাঠিটাই মানি না। ওদের ওই ভণ্ডামিই হয়তো সত্য, আমরা যে সদা সত্যকথা বলি সেটাই হয়তো মিথ্যা । ওরা যে বিদ্যার ভাণ করে সে বিদ্যাটা হয়তো জানে না, কিন্তু বিদ্যাটায় বিশ্বাস করে। আমরা কিছু বিশ্বাস করি না, লোকে মিথ্যাবাদী বলবে ভয়ে সত্য কথা বলি, চলতি সত্য কথা । মানুষের সঙ্গে মানুষের মতের অমিল লক্ষ্য করেছেন, কত বিষয়ে কতরকম অমিল ? ওটা হল অবিশ্বাসের প্রমাণ । আমরা চোখ খুলে জানিবার চেষ্টা করছি এবং বিশ্বাস অন্ধ এই অজুহাতে আমরা বিশ্বাস ত্যাগ করেছি। যন্ত্রের মত আমরা অবিশ্বাস করে যাই। বিশ্বাসী ভণ্ডরা যদি নেগেটিভ অপদার্থ, নেগেটিভ হামবাগ হয়, আমরা পজিটিভ অপদার্থ, পজিটিভ হামবাগ।” মোহন খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া প্রশ্ন করে, “আপনি অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস করেন ?” Voy