পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী আপলোসেব আওয়াজ করিয়া মা বলেন, ‘তুইও বৌমার মত এলোমেলে৷ চিন্ত| করিস। তুই না তুক তাকে বিশ্বাস করিস না ? লাৰু বালল তুকতাক কবে মানুষটা আমাদের সর্বনাশ করছে—তুইও ওমনি ওকে তাড়াতে রাজা হয়ে গেলি ? বৌমা যে উন্টো বুঝেছে, ছেলেমানুষী করছে এটা বুঝলি নে তুই ? ওনাকে অপমান করলে তাড়িয়ে দিলেই ধে সৰ্ব্বনাশ হবে আমাদের। ওভাবে ক্ষতি করতে চাইলে শত্রু ভাবে করতে হবে তো ? তোর স্বাড়ীতে থেকে তোর অন্ন খেয়ে তোর সর্বনাশের জন্য তুক তাক চালাতে গেলে পৗতু ঠাকুর নিজেই মাবা পডবে না ?” লাবণ্য। তবে নিজের উদারতায় পীতাম্বরকে ক্ষমা করে নাই, মা’র যুক্তি শুনিয়া ভয় পাইয়াছে ! পরদিন সকালেই তাই সে পীতাম্বরকে বলিল, “একটা ভারি মুস্কিল হল যে পৗতুকাক ! গ্যারেজের এই ঘরটা যে আমার দরকার হবে।” পীতাম্বর বলিল, “তা আব্ব মুস্কিল কি ? সিড়ির নীচে কোণের দিকে যে ঘরটা আছে আমি বরং সেখানে যাই ? সেটা ঠিক ঘর নয়, তিনহাত চওড়া পাঁচ হাত একটা ঘূপচি, জানালার বদলে উচুতে একটা ছোট ফুটা আছে, ফেলিয়া দিতে মায়া হয়। অথচ কাজে লাগে না। এমনি সব আবৰ্জনাই রাখা চলে ।

  • ও ঘরটাও কাজে লাগবে ।” পীতাম্বর চাহিয়া থাকে । “আপনি বরং অন্য কোথাও একটা ব্যবস্থা করে নিন।’ পীতাম্বরের মুখ দেখিয়া মোহনের মায়াও লয়, লজ্জা ও করিতে থাকে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে বলিয়া বসে, “তাড়াতাড়ি কিছু নেই, দশ-পনের দিন আরও থাকতে পারবেন । সুবিধামত ব্যবস্থা করে না নিতে পারলে আমি কি আপনাকে তাড়িয়ে দেব ? দেখেশুনে সুবিধামত জায়গা খুজে নিয়ে গেলেও চলবে ।”

দশ-পনের দিন সময় দিয়াছে। তার মানেই অন্ততঃ এক মাসের আগে লোকটা নিশ্চয় নড়িবে না ! মোহন মনে মনে আপসোস করিতে লাগিল। পীতাম্বরকে বাড়ীতে রাখিবে না ঠিক করিবার পর অবিলম্বে তাকে তাড়ানোর জন্য তার কেমন একটা খাপছাড়া VR