পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৪

মানিক গ্ৰন্থাবলী নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনে, একেবারে গোটা একটা দেশী মদের বোতল কেনে আর হৈচৈ করে। সারারাত ? না, দুর্গার ঘরে ফুতি জমিবে না । দুৰ্গা চাপার মত নয়, গোলাসে চুমুক দেওয়ার বদলে সে শুধু ঠোঁটে ঠেকায়। অনর্গল হাসি তামাসা ছলনা। চাতুরীর উল্লাসে বিশ্বসংসার ভুলইয়া দেওয়ার বদলে জড়সড় হইয়া বসিয়া থাকে, উত্তেজনা ঠাণ্ডা করিয়া দেয়। “দুগগা যেতে বলেছে দাদা।” জ্যোতি তাগিদ জানায় । \ তা বলিবে বৈকি, দুর্গ কি তার খবর রাখে না কবে সে মজুরি পাইয়াছে। আট দশ দিন খোজ ও নেয় নাই, এখন একেবারে তার জন্য ব্যাকুল হইয়া পডিয়াছে। মন ভুলাইতে না জানুক দুৰ্গা পয়সা চেনে । না, ফুতি করা নয়, দুর্গার সঙ্গে আজ সে ঝগড়া করিয়া চলিয়া আসিবে। আজ সে যাইতেছে বটে, কিন্তু সব সম্পর্ক দুর্গার সঙ্গে চুকাইয়া দিয়া আসিবে, কোন দিন যাতে আর যাইতে না হয় । “আসে না কেন বল দিকি ? কি হয়েছে তোমার ? ময়লা চাদরে ঢাকা শ্ৰীপতির হাতুড়ি পেটা শক্ত সুন্দর শরীরটা দুৰ্গা দেখিতে পায় না, তাই গায়ে পিঠে হাত বুলায়। এখানে ওখানে টিপিয়া প্রিং-এর মত মাংস-পেশীগুলি অনুভব করিতে দুৰ্গার ভাল লাগে । “পয়সাকড়ি নেই, আসব কি ?” “তোমার সঙ্গে আমার বুঝি শুধু পয়সার সম্পর্ক ? তেমন মানুষ আমি নই 65) नई !' 'ञि८ङ ८ऊ छ्ऎ ब ।।' “দিয়েছ, নিয়েছি। কেড়ে নিয়েছি তোমার ঠেয়ে ?” “কেড়ে নেবে কেন, তাকে তকে থাকো কবে মজুরি পাব ! ওমনি ডাক পড়ে। কেড়ে নেয়ার চেয়ে ভাল নিতে জানো তুমি।” দুৰ্গা আহত হইয়া ঘাড় কাত করিয়া বলে, “না নিলে খাব কি ? খেয়ে পরে বঁাচতে হবে না। আমার ?” তারপর ঝগড়ার ভঙ্গিতে মুখটা সামনে ঠেলিয়া দিয়া বলে, “কত দিয়েছ যে Vo V