পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fiဂျီရံ মমতা হীরেনের বিবৰ্ণ মুখের দিকে চেয়ে বলল, “গুনছ ? রামপাল ওর প্ৰাণ বাচাল, রামপালকে ভুলিয়ে উনি পুলিশ ডাকলেন, শেষে রামপালকেই BBBD DBDB DD BBDB DDB BDB BDD SS BB DD DuD u BDBDSYSA একবার তার চোখে চোখ মিলিয়ে বাইরে তাকিয়ে হীরেন। কাঠ হয়ে বসে রইল। আরিফ স্টেশন থেকেই বাড়ী চলে গেছে। একটা ট্যাক্সিতে তারা গাদা হয়ে বসেছে-শ্ৰীপতি ও গণির সঙ্গে। গণি বসেছে মমতার পাশে, গাঘেষে, চেপে । তার দোষ নেই। সে নিরুপায়। মমতা ঠেলে সরে এসে শেষ প্ৰান্তে একটু স্থান করে গণিকে ডেকে সেখানে নিজের পাশে বসিয়েছে। মমতার কোমল দেহের কতখানি অংশের কত নিবিড় স্পর্শ গণি পাচ্ছে এ পাশে বসে নিজের একটানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা থেকেই হীরেন তা অনুমান করতে পারছিল । জেদি একগুয়ে শক্ত মমতার শরীরটা যে এত নরম এতদিন হীরেন ভাবতেও পারে নি, এতদিন সে ছিল প্ৰাণের প্রাচুৰ্য্যে স্বতোৎসারিত সদা উৎফুল্ল সুন্দর একটি অনিবাৰ্য্য তীব্র আকর্ষণ, মৰ্ম্মান্তিক রূপে কামা। ফঁাদে যেন আটকা পড়েছে মনে হয়। হীরেনের। তাকে বেঁধে কয়েকটা বিপরীত শক্তি একসঙ্গে বিভিন্ন দিকে টানছে । শ্ৰীপতি ও গণি এমন ভাবে কথা বলছে, সে যেন উপস্থিত নেই। মমতা ও কৃষ্ণেন্দু সায় দিয়ে যাচ্ছে। কাঠের কারখানা যেন তার বাপের নয়, উমাপদ যেন তার ভাই নয়, তার বাপ ভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্ৰীপতি ও গণির যা খুন্সী বলে যাওয়া যেন মোটেই অসঙ্গত নয় ! প্ৰথমে একান্তে ওদের কাছে সব শুনে নিয়ে মমতা তাকে বলতে পারত, কৃষ্ণেন্দু বলতে পারত। তার সামনে ওরা কি বলে এ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ? কৃষ্ণেন্দুকে সিগারেট ধরাতে দেশলাই দিতে গিয়ে গণি কি মমতার বুকে কনুই ঠেকাবে ? “এই রেখাকে ৷” ফুটপাথ ঘেসে ট্যাক্সি দাড়াল, আইন বঁাচানো পাতলা কাপড়ে ঢাকা অকথ্য যৌবনের ফোলা একটি ন্যাংটো স্ত্রীলোকের বিজ্ঞাপন টাঙ্গানো পুরুষত্বহানির অব্যর্থ ওষুধ বিক্রী এক দোকানের সামনে! হীরেন লক্ষ্য করল, কুঁজো হয়ে বসে টাকাণ্ডলা চোখা নাক ঘুমন্ত শকুনির মত দোকানদারটি মোটর থামার শব্দে হঠাৎ জীবন্ত হয়ে খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে আশার ঔৎসুক্যে সিধা হয়ে বসেছে । হীরেনের ইচ্ছা হল, হাসে। এগার বছর আগে কলেজে। সেকেণ্ড 8 Σ