পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शूठछन् 6अछ ©l° ঈষৎ ঢাল সমভূমিতে এলোমেলো ভাবে ছড়ান বাড়িগুলি শেষ দুপুরের রোদ পোয়াচ্ছে । শীতকালের খাখ টনটনে পাহাড়ী রোদ । পশ্চিমে সরু একফালি সাফসুরুৎ অরণ্যের এক মাথায় টিলার মতো ছোট পাহাড়টি বসান। দুদিকে শাখাপ্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে এসে প্রধান রাস্তাটি পাহাড়ের প্রায় দেড়শ গজ তফাৎ দিয়ে এগিয়ে গেছে। পথ আর পাহাড়ের মধ্যে বাড়ি আছে তিনটি । श्ष्ट दाष्टिद्र গেট প্রায় পথের উপরে, অন্য বাড়িটি পাহাড়ের ঠিক নিচে। পথ-ঘেষা। বাড়ি দুটির ব্যবধানকে মাঝামাঝি চিরে মাটি পাথর আর শুকনো পাতার এবড়োখেবড়ো পথ পাহাড়-ঘেষা বাড়িটির সঙ্গে বড় রাস্তার সংযোগ ঘটিয়েছে। বাড়িটি ছোট এবং সাদাসিদে। একসারিতে পাশাপাশি তিনখানা ঘর, সামনের সমস্তটাই খোলা বারান্দা । বাড়ির আনুসঙ্গিকটি অনেকখানি তফাতে চাকা-বসান কুয়োর ধারের বিচ্ছিন্নতায় এবং আগাগোড়া টিনের হওয়ার তুচ্ছতায় প্ৰায় চোখেই পড়ে না । বারান্দার একধারে সাধারণ দুটি বেতের চেয়ারে একটি পুরুষ ও স্ত্রীলোক রোদে বসেছিল। পুরুষটি মাঝবয়সী, সুস্থ সবল উন্নত চেহারা, মোটা চিবুক কামানো দাড়িতে কড়া দেখায়। তার স্ত্রী হবার মানানসই বয়স মেয়েটর, যদিও সে ক্ষীণাঙ্গী। কনকনে ঠাণ্ড বাতাসে দুজনেরি ঠোঁট ফেটেছে, মেয়েটির পাতলা ঠোঁটের দুটি ফাটলে রক্ত জমে আছে দুই রাত্তি। উদ্বিগ্ন প্রত্যাশায় দুজনকেই একটু উতলা মনে হচ্ছে। পথের দিকে তাকাবার ভঙ্গিতে এবং বড় রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ হলে দুজনের নড়েচড়ে বসবার রকমে প্ৰত্যাশার স্বরূপটা স্পষ্ট হয়ে ङेर्टछ् । ‘সময় চলে গেছে। আজ আর আসবে না।” ঠোঁট বঁচিয়ে প্ৰমীলার কথা বলার চেষ্টা দেখে পরাশর নিজেও ঠোঁট বাঁচিয়েই একটু হাসল। 'গাড়ি আজকাল তিন চার ঘণ্টাও লেট করছে। তবে না-ও আসতে পারে, চিঠি লেখার পর হয়তো মত বদলেছে। ধাপ্লাও হতে পারে।” প্ৰমীলা মাথা নাড়ল। “এতকাল পরে হঠাৎ ধাপ্পা দিতে যাবে কেন ? 'কেন ? কে জানে কেন । এতকাল পরে হঠাৎ দেখা করতেই বা আসবে কেন ? এমন খাপছাড়া কাজ 8@心