পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃতজনে দেহ প্ৰাণ প্ৰমীলা তাকিয়ে রইল পরাশরের মুখের দিকে। পরাশর বলল, “থাকগে, কাজ নেই। আমরাই যতটা পারি করি।” পাচদিন গেল, সাতদিনও গেল। ভূপতি মরল না। চেঞ্জ, নতুন ডাক্তারের চিকিৎসা, পথ্যের অদল-বদল, সেবা-যত্বের নতুনত্ব, মানসিক পরিবতন কিসে যে কি হল কেউ জানে না, তিন সাতে একুশ দিন পরেও ভূপতি বেচে রইল। ডাক্তার, স্পেশালিষ্ট নন বলে এখানে রেখে ভূপতির চিকিৎসা করতে যিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন, তিনি গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে জানিয়ে দিতে লাগলেন দিন দিন ভূপতির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। জানিয়ে দেবার অবশ্য কোনো প্রয়োজন ছিল না, পরাশর ও প্ৰমীলার চোখেও সে উন্নতি ধরা পড়ছিল। একদিন পরাশর ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করল, “ওর সত্যি টি-বি হয়েছিল তে। ডাক্তারবাবু? না, খেতে না-পেয়ে ওরকম হয়েছিল ?” ডাক্তার চমকে উঠলেন। বললেন, “সে, কি ! তাই কখনো হয় ? আমি টিবির চিকিৎসা করছি।-' 8VS