পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে বঁচায় মেয়েদের লেখাপড়া শেখা। ছেলেরাই এডুকেশন পাচ্ছে না, মেয়েরা কি করবে এডুকেশন দিয়ে ?” মাধব বলল, ‘দাঁড়ান, মেয়েদের একটা স্কুল খুলিয়ে দিচ্ছি।” ভূপতি চমকে গেলেন। শ্যামল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। চলে যেতে যেতে ভূপতির মেয়ে থমকে দাঁড়াল। “সরকার মশায় রাজী হবেন ? কিন্তু মেয়ে তো বেশি হবে না “দশটি মেয়ে তো হবে ? তাই ঢের ।” ধনঞ্জয়ের ছোয়াচ লেগে লেগে মাধবের কি হয়েছে, হঠাৎ সৎকর্মের অদম্য প্রেরণা জাগে । মেয়ে স্কুল খোলবার চিন্তায় সে অন্যমনস্ক হয়ে গেল। তাকে যে কমিটি গডে, ভলাণ্টিয়ার জোগাড করে, সাপ্লাই-এর ব্যবস্থ! ঠিক করে, স্কুলের একটা অংশ ঘিবে এবং আরও বহু হাঙ্গামা করে অন্নসত্র খুলতে হবে সে ভাবনা প্রায় চাপা পডে গেল তখনকার মতো । ধনঞ্জয় রাজী হবেন। খুব সহজেই মাধব তাকে মেয়ে স্কুল খুলতে রাজী করাতে পারবে। পড়ানোর কাজ দিয়ে তিন চার জন যুবতী মেয়ের উপকার করার সুযোগ ধনঞ্জয় ছাড়বেন না। মাধবের কাছে এই নতুন পরিকল্পনা পেয়ে তিনি খুশি হবেন। ধনঞ্জয় খুশি ইলে মাধবের হবে সুখ । বাঙ্গাতলা হিতৈষিণী সভার কয়েকজন মাতব্বর সভ্য এবং স্কুলের অন্য মাষ্টাররা এসে পড়ায় মাধবকে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় রত হতে হল। মনটা তার একটু আনমনা হয়ে রইল। গায়ের চারিদিক ঘুরে আসবার ইচ্ছা মাধবের ছিল। দুপুরে বিশ্রাম করে বিকালের দিকে ভূপতি, শ্যামল এবং আরও দুজন হিতৈর্ষিণী সভ্যোর সঙ্গে সে বেরিয়ে পড়ল। যাবার আগে ভূপতির মেয়ের কাছ থেকে নলিনীর মার পাচটা টাকা চেয়ে নিল। নিজেই সে টাকাটা পৌছে দিয়ে আসবে। “আর গোটা তিনেক টাকা দিয়ে আট টাকা করে দেব। বলবিখন মেয়েই সব টাকা পাঠিয়েছে।” 'डांलांझे 6डा ।' মুখে সায় দিলেও সকলে একটু শঙ্কিত হলেন। আট টাকাকে বারো চোদ্দ টাকা করতে মাধব আবার চাদ না চেয়ে বসে। মাধব সিনেমার স্বাদ পাচ্ছিল । 8VS