পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাস না বলতো ? খিদেয় আমার পেট জলে না, মাথার মধ্যে আগুন জলে ওঠে।” শ্ৰীমন্তসহায় হাসল, “যা বাবা, যা। গাঁয়ে আটক আছি, তাই না তোদের ডেকে দুটো কথা কই ।” সত্যই বড় খিদে পেয়েছিল গোবর্ধনের। কিছু না খেয়ে কুমড়োটা নিয়ে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করা যাবে না, শেষ পর্যন্ত বাস হয়তো আসবে অনেক দেরিতে । খাওয়ার তাগিদ শুনে কিন্তু তার বেী গুণমতী মাথা নাড়ল— “সন্দে লাগুক, বাতিটে জালি ? সবুর কর খানিক।” 'भूख्रि cा श)? ‘কাণ্ডজ্ঞানটি খুইয়েছে একদম। বাতিটে জালি ? আগে এসতে পারলে নিকো। একটুকু ? 'दीडि डब्ल।' “সন্দে হোক ?” গোবর্ধনকে সায় দিতে হল। সন্ধ্যাকে হতে না দিয়ে সত্যই এখন আর বাতি জ্বালা যায় না । দিন শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু সন্ধ্যা এখনো হয় নি। অথচ ইচ্ছে করলেই সে অনেক আগেই বাড়ি ফিরতে পারত। বাস আসে নি, আসতে দেরি হবে শুনেই সোজা বাড়ি চলে এলেই হত। কিন্তু কোনো একটা ব্যাপার বুঝে মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে যেন তার জন্ম কেটে যায়। তাড়াতাড়ি করার তাগিদ বোধ করেও সে টিমে তালে কাজ করে যায় চিরদিন-শ্ৰীমন্ত্যসহায়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে হন হন করে এগিয়ে যাবার বদলে দাড়িয়ে খানিক আলাপ করে আসে। এমনি করে সব তার পণ্ড হয়ে গোল—সব । মনটা খিচড়ে যায়। গোবর্ধনের। সে ভাবে, কুমড়ো নিয়ে যেতে যেতে বাসটা এসে চলে যাবে নিশ্চয়, চিরদিন এমনি ঘটনাই তো ঘটে এসেছে তার জীবনে ! না, খিদে মেটাবার জন্য দুদণ্ডও সে দাড়াবে না বাড়ীতে । ছেলের হাতে রাস্তায় দুটি মুড়ি পাঠিয়ে দিতে বলে কুমড়োটি সে বার করতে যাবে, গুণমতী তাতেও বাধা দিল। বাতি জ্বালার আগে ঘর থেকে এখন কুটোটি 6न दादू कइ05 60द 2 । 'ধুত্তোর বাতি জালা!” পনের সের ওজনের মন্ত কুমড়োটিকঁধে তুলে গোবর্ধন বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে গুণমতী কাতর হয়ে বলল, “ওগো, যেগুনি তুমি, যেওনি। কেউ কুমড়ো কিনবে নি তুমার, সবুর করে যাও।” 8brö