পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী হয়তো ফলেই যাবে! গায়ের এক প্রান্তে একটু তফাতে ফচকের মাসী এই রোগে সেদিন চিতায় উঠেছে—ফচকে আর শ্ৰীমন্তসহায় শুধু দুজনের কঁধে একটা বাশে বাধা হয়ে ঝুলতে ঝুলতে গিয়ে উঠেছে চিতায়। শ্ৰীমন্তসহায় কত ছোয়াছুয়ি করেছিল ফচকের মাসীকে । তার অবশ্যম্ভাবী ফলটা গুরুজনের অভিশাপের তাগিদে দু-চার দিনের মধ্যেই নিৰ্যাৎ ফলে যাবে নিশ্চয় । শ্ৰীমন্তসহায় এগিয়ে এসে বলল, “বড লেগেছে নাকি মামা ? ওঠ, लटि शोंe ।' ধীরে ধীরে দণ্ডধারীকে ধরে তুলে সে দাড় করিয়ে দিল। এ কাজটা এতক্ষণ অন্য কারুর করাই উচিত ছিল বটে, কিন্তু উচিত কাজ কি সব সময় করতে পারে মানুষে ? শ্ৰীমন্তসহায় রাগ করতে পারে এ ভয়তো ছিলই, তাছাড়া একটু শুধু অপেক্ষা করছিল। সকলে, তারপর কি ঘটে দেখবার জন্য। মামাকে যে ঘাড় ধরে রাস্তায় আছড়ে ফেলতে পারে, অভিশাপ শুনে তার পক্ষে তেড়ে এসে আরও দু চার ঘা বসিয়ে দেওয়া বিচিত্র কি । শ্ৰীমন্ত্যসহায়ের নতুন ধরনের কথা ও ব্যবহারে দণ্ডধারীও একটু ভড়কে গিয়েছিল । হাত ছাড়িয়ে হন হন করে খানিকটা তফাতে গিয়ে সে থমকে দাঁড়াল। মুখ ফিরিয়ে ভাগ্নেকে পাজী, বজ্জাত, বেজন্মা, চণ্ডাল প্ৰভৃতি কতগুলি বাছা বাছা গাল শুনিয়ে গাল দিতে দিতেই আবার হন হন করে। কঁচা পথে নেমে বাড়ির দিকে চলে গেল । শ্ৰীমন্তসহায় সকলকে শুনিয়ে বলল, “চারটে গা ঘুরে আজ চার টাকা পেয়েছে। কাল পেইছিল দেড় টাকা । বললাম, কালকের বারগণ্ডা পয়সা যদি না দিলে তো নাই দিলে মামা, আজকের দুটো টাকা দাও ? বলে কিনা, মোর পাওনা নেই!-বাপের শালা কুথাকার!! দূর করে দিলাম দোকান থেকে। কদিন ভণ্ডামি সয় বলে ? ওটা কি ডাক্তার ? আমি একটা চটি বই কিনে দিইছি, তাই পড়ে ডাক্তারি করে, আবার আমারি মুখের পরে চোটপাট । পাওনা নেই । মোর সব কিছু-মোর পাওনা নেই!” চায়ের দোকানে গিয়ে সে লোহার চেয়ারটা দখল করে বসল, ‘হাক দিয়ে বলল, “এক কাপ চ দে দিকি বাবা কে আছিস । দুধ মিষ্টি দিস বাবা একটুখানি, CVIVS Gİ ” ধীরে সুস্থে চা পান করে বিড়ির রীদলে এক পয়সার একটা সিগারেট কিনে 8ase