পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী গেল। জগত চিৎকার করে উঠল, “খপর্দার! তুমি আমার কুকুরের গায়ে হাত sि 5 ।।' মোটা খন্তি হাতে জগত ঈশ্বরকে মারতে আসছিল, শ্ৰীমন্ত সহায় তাকে জড়িয়ে ধরে আটকে রাখল। লোহার হাতলের একটিমাত্র আঘাতে ভুলির আর্তনাদ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে সে গভীর একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, “এই ঠিক शशgछ ऊांश् ।' .سم খন্তি কেড়ে জগতকে শান্ত করে আবার সে বলল, “জানি সব, ভূর্ক্সে शांति । গায়ের বাইরে যাওয়া বারণ। কাঠপোড়া যত শুকনো গা হোক ভাই,\ বাঙ্গলা দেশের গাঁ। রসে একদম টইটুম্বরে। একটা মোটে মামী মশায়-পরিবারটিকে শ্বশুরব্যাটা পাঠাই পাঠাই করে পাঠাচ্ছে না—একটা মামীর স্নেহ লেগে লেগে মনটা আঠার মত চটচটে হয়ে গেছে, কি বলব আপনাকে ৷” শ্ৰীমন্ত সহায় সকলকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে বসিয়ে দণ্ডধারীর বাড়ির কাছে গিয়ে একবার শুধু ডেকেছে, মামী বেরিয়ে এসে দেহের মত মোটা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “কজন খাবে র্যা ছিমন্ত ? কজন খাবে ? সেটাতো হিসাব করে নি। শ্ৰীমন্ত সহায় । মামী চটে বললেন, “কজন খাবে না জানলে কি করে রাধব শুনি ? দশ জনের কম পড়াটা ভালো, না দশজনেরটা নষ্ট হওয়া ভালো ? কাণ্ডজ্ঞান থাকলেকি মামাকে তুই মারতে পারিস।” ঈশ্বর মনে মনে হিসাব করছিল । “আজ্ঞে, আমরা একুশ জন খাব। উনিশ প্যাসেঞ্জার আর আমরা দুজন । তারপর ছিমন্তবাবু আছেন৷”— শ্ৰীমন্তসহায় যোগ দিল, “গোবধােনও খাবে। ওর কুমুড়োটা নেওয়া হল, ওকে দিতে হবে।” মামী তার বিধবা বোনকে নিয়ে অল্প দূরে শ্ৰীমন্ত সহায়ের বাড়িতে গিয়ে ঢুকলেন। উঠানের বড় চুলোটায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল, উনানে একটা প্ৰকাণ্ড হাড়ি চাপান হল । শ্ৰীমন্ত্যসহায়ের বাপের আমলের হাড়ি । দশ বছর বাদে হাড়িটা শুধু ধুয়ে নেওয়া হয়েছে, মেজে ঘষে নেবার সময় কোথায়! না। ডাকলেও গা থেকে খিচুড়ি খেতে এল গায়ের প্রায় তিনভাগ লোক, মেয়ে এবং পুরুষ তার মধ্যে কয়েকজন শুধু ভাণ করে বলল যে তারা শুধু ব্যাপারখানা দেখতে এসেছে। বাকী সকলে নিঃশব্দে অপেক্ষা করতে লাগল, কারো কারো ( e 2.