পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী-স্ত্রী য়াত দশটায় মেনকা ঘরে এল। এ বাড়িতে সকাল সকাল খাওয়া-দাওয়ার হাঙ্গামা চুকে যায়। ছোট ঘর, চওড়ার চেয়ে লম্বায় দুহাতের বেশি হবে না । মেনকার বিয়েতে মেনকার স্বামী গোপালকে দেওয়া খাটখানাই ঘরের অর্ধেক জুড়ে আছে। খাটের সঙ্গে কোণাচেভাবে পাশ কাটানোর কৌশলে পাতা আছে গোপালেরক্যাম্পচেয়ার, চারিদিকেই চেয়ারটির পাশ কাটিয়ে চলাফেরা সম্ভব। সামনে ছোট একটি টুলে পা উঠিয়ে এই চেয়ারে চিৎ হয়ে গোপাল আরাম করে, বিড়ি মেশাল দিয়ে সিগারেট খায় আর বই পড়ে। পপুলার বই—উঁচুদরের বই যারা লেখেন তাদের পর্যন্ত— যে-বই পড়ে সময় কাটিয়ে মনকে বিশ্রাম দিতে হয়। ঘরের এককোণে ট্রাঙ্ক ও সুটকেশ, স্টিল, চামড়া আর টিনের। ট্রাঙ্কটি মেনকার বিয়ের সময় পাওয়া । রঙ এখনো উজ্জল, তবে কিসে ঘা লেগে যেন একটা কোণ থেবাড়ে গেছে। দেয়ালে কয়েকটি বাজে ছবি আর মেনকা ও গোপালের বড় একটি ফটো টাঙানো । শাড়ী, শাড়ী পরার ঢং, গয়নার আধিক্য আর চুল বাঁধার কায়দা ছাড়া ফটাের মেনকার সঙ্গে যে মেনকা ঘরে এল। তার বিশেষ কোনো তফাৎ চোখে পড়ে না । গায়ে একটু পুরন্ত হয়েছে মনে হয়, আবার সন্দেহও জাগে। ফটোর গোপালের চেয়ে ক্যাম্পচেয়ারের গোপাল কিন্তু অনেক রোগা । এতে ফটোর ফাকি নেই, বিয়ের পর সত্যই গোপাল রোগ হয়ে গেছে। বিয়ে করার জন্য অথবা চাকরি করার জন্য বলা কঠিন, চাকরি আর বিয়ে তার হয়েছে প্ৰায় একসঙ্গে । ঘরে এসে দরজায় খিল তুলে দিয়ে মেনকা সেমিজ ছাড়ল। খাটের প্রান্তে পা বুলিয়ে বসে জোরে জোরে পাখা চালিয়ে বলল, “বাবা, বাঁচলাম।” গোপাল বই নামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে সায় দেওয়া হাসি একটু হাসল। তারপর আবার বই তুলে নিল। ‘উ: মাগো, সেদ্ধ হয়ে গেছি। একেবারে।” এবার গোপাল বই নামাল না, পড়তে পড়তেই বলল, “বিশ্ৰী গরম পড়েছে।” "টেবল ফ্যানটা তুমি আর কিনলে না।” ‘তুমি শাড়ীটা না। কিনলে—” 'अशbों इम्र 6डी थकाऊ १ांब्रि भी ।" পাখার হাওয়া গায়ে লাগাতে তাই সে এরকম হয়ে আছে। ঘর যেন